বড় পর্দায় তাঁর অভিষেক হয়েছিল ‘আশিকি’ (১৯৯১) ছবির সঙ্গে। নব্বইয়ের দশকের গোড়াতেই ইতিহাস রচনা করেছিল ভাট ক্যাম্পের এই মি🍷উজিক্যাল ছবি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই ছবির পর বলিউডে নিজের পায়ের মাটি শক্ত করতে পারেননি রাহুল রায়। ধীরে ধীরে হারিয়ে যান। এরপর ২০০৬ সালে বিগ বস-এর প্রথম সিজনের বিজয়ী হন রাহুল। জেতেন কোটি টাকা। তারপরেও লাইমলাইট কাড়তে𝔉 ব্য়র্থ।
২০২০ সালে যখন রুপ🐽োলি পর্দায় নিজের কামব্য়াকের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ‘এলওসি-লাইভ দ্য ব্যাটেল ইন কার্গিল’-এর শ্যুটিং চলাকালীন ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন রাহুল রায়। অতি সংকটজনক অবস্থায় দীর্ঘদিন হাসপাতালে লড়াই চালিয়েছ💦েন রাহুল, মৃত্যুমুখ থেকে বেঁচে ফেরেন তারকা। আর এই কঠিন লড়াইয়ে ইন্ডাস্ট্রির মানুষজনকে সেভাবে পাশে পাননি অভিনেতা। তাঁর সবচেয়ে বেশি আফসোস ‘আশিকি’ নির্মাতারা ভুলেও খোঁজটুকু নেয়নি। মহেশ ভাটের মতোই তাঁর মেয়ে পূজা ভাটও সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়েছেন রাহুলকে। অথচ ২০১৯ সালেই পূজা ভাটের ওটিটি ছবি ‘ক্যাবারে’তে কাজ করেছিলেন অভিনেতা।
সিদ্ধার্থ কাননকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাহুল বলেন, মহেশ ভাট, পূজা ভাট-সহ তাঁর প্রাক্তন সহকর্মীরা কেউ তাঁর খোঁজ নেয়নি। মণীষা কৈরালা, রবিনা টন্ডন💧 থেকে করিশ্মা কাপুর, দুর্দিনে কেউই পাশে ছিল না। রাহুলের পাতানো বোন প্রিয়াঙ্কা রায় জানান, রাহুলের পরিবারের কোনও সদস্যও সাহায্যের হাত বাড়ায়নি। তবে রাহুলকে অবাক করে দিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ান সলমন খান। অসুস্থ অভিনেতার হাসপাতালের বাকি বিল মেটান ভাইজান। কোনওদিন মিডিয়ার সামনে সে কথা ফাঁস করেননি তিনি। রাহুলের জানান, ‘সলমন জানতো না অসুস্থতার ব্যাপারে, সলমন ফোন করে জানতে চান কোনও সাহায্য লাগবে কিনা। আমার ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে শুনে আশ্চর্য হয়ে যায়। আমি বলতে চাইনি, তবে ও জানতে পারে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা মতো বিল বাকি আছে। সাথে সাথে ও টাকা মিটিয়ে দেয়। এই ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব নয়। কাউকে এটা ও জানতেও দেয়নি। সলমন খুব বড় মনের মানুষ'।
ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর শুরুতে ওকহার্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রাহুলকে, যেখানে করা হয়েছিল মস্তিষ্ক এবং হার্টের এনজিওগ্রাফি। পরে অভিনেতাকে নিয়ে ▨এসে ভর্তি করানো হয় মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে আইসিইউতে। সেখানে একটানা দেড় মাস ভর্তি ছিলেন নায়ক। আশিকি ২ অভিনেতা আপতত কাজে ফিরতে চান।