টলিউডে আপাতত কর্ম বিরতি। এমনকী, শ্যুটিং করতে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে মহানায়ক সম্মান পাওয়া প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কেও। তাঁর পুজোর ছবির পরিচালকই ছিলেন রাহুল মুখোপাধ্যায়। ‘মিথ্য বলে’ বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য🙈 নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল প্রথমে। তবে পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ডিরেক্টরস গিল্ড। তবে বেঁকে বসে ফেডারেশন। এমনকী, শনিবার সেটে আসেনি কোনও কলা-কুশলী। যা নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন টলিউডের বেশিরভাগ পরিচালক। পরমব্রত থেকে রাজ, অনির্বাণ থেকে সুদেষ্ণা, সবার গলাতেই এক সুর। রাহুলকে পরিচালক বানিয়🔯েই করতে হবে ছবির শ্যুট।
ইতিমধ্যেই টলিউডের তারকারা একের পর এক পোস্ট করে চলেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। সকলেই চাইছেন, সব সমস্যা মিটিয়ে কাজ শুরু হোক। টলিউডের কর্মবিরতি মিটুক। এরই মাঝে ভাইরাল প্রয꧅োজক রাণা সরকারের একটি পোস্ট। যেখানে নাম না করেই, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন তিনি, মত নেট-নাগরিকদের। এমনকী রাণা নিজেও, প্রসেনজিত෴ের ‘ডিপ্রেশন মন্তব্য’ নিয়ে একটি কমেন্টের জবাবে দিয়েছেন হাসির স্মাইলি।
রাণা লিখলেন, ‘সমস্যার সমাধানে আন্দোলন হোক, কর্তার (আপনি বরং পড়ুন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়) ইগো স্যাটিসফেকশনের জন্য নয়। ধরে নিন চাপের মুখে অথবা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ফেডারেশন রাহুল মুখার্জিকে ডিরেক্টর হিসেবে মেনে নিলো… রাহুল মুখার্জি শ্যুটিং শুরু করে দিল এবং নির্বিঘ্নে শেষ ও করলো। আন্দোলনের জয় হলো, চারিদিকে শান্তি, কর্তার ইগো স্যাটিসফেকশন হলো, সবাই খুশি। তাহলে কি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সব সমস্যা শেষ?ডিরেক্টর, প্রোডিউসারদের আর কোন সমস্যা থাকলো নাꦛ? না, সব থেকেই গেল ।’
‘যে যে সমস্যা আজ হচ্ছে সেগুলো সবসময় ছিল। সেসব নিয়ে বিগত ১২ বছর আমি ও আ🌃মাদের কিছু কিছু প্রযোজক বন্ধু প্রচুর লড়াই করেছি। তখন কেউ পাশে এসে দাঁড়ায়নি ভয় অথবা ভক্তিতে। আপনাদের কর্তাও পাশে এসে দাড়ায়নি কোনোদিন ভয় অথবা ভক্তিতে। আজ কর্তার ইচ্ছার ও ইগোর মান রাখতে যেসব নন্দী ভৃঙ্গির দল (আপনি এই দলে কাকে ফেলবেন তা আপনার ব্যাপার) তুমুল নেত্য করছে, কাল তারা সব ভিজে বেড়াল হয়ে যাবে। সমস্যা সমস্যাই থেকে যাবে। এত বড় আন্দোলনের একমাত্র ফল হবে একজন ডিরেক্টরকে তার পদে 🏅ফিরিয়ে আনা, বাকি ১০০ জন ডিরেক্টরের সমস্যা কেউ শুনলই না, জানলই না, সমাধানই হল না।’
‘রাহুল মুখার্জিকে ডিরেক্টর পদে ফিরিয়ে আনা একটা নগণ্য বিষয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সামগ্রিক সমস্যা পর্বতের কাছে। সেই নগণ্য বিষয়টি জেতার জন্য সামগ্রিক সমস্যাগুলো ভুলে শুধু কর্তার ইগো স্যাটিসফেকশনের ফাঁদে পা দিয়ে ফেললেন। এতবড় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বাস্তবে নিট ফল হবে অশ্বডিম্ব, রাহুল মুখাღর্জি ডিরেক্টর পদে ফিরে এলেও।’
‘এখনো সময় আছে, এই আন্দোলনের তীব্রতাকে কাজে লাগিয়ে সব সমস্যার সমাধান করে নিন। তাতে আপনার কর্তারও লাভ হবে। একটা দুর্বলতম বিচ্ছিন্ন দাবীপূরণেই এই আন্দোলন শেষ হয়ে যেতে দেবেন না। সমস্যাগুলো নিয়ে আরেকবার নতুন করে আন্দোলন শুরু করা কিন্তু খুব কঠিন। তখন আপনাদের কর্তাবাবুও পাশে থাকবে না এটা নিশ্চয় বোঝেন। আমরা যে তিমিরে ছিলাম সেই তিমিরেই রয়ে যাবো। পরিচালকরা শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী বাঙালি। শুধুমাত্র প্রোডিউসার পাওয়ার লোভে নিজের স্বকীয়তা হারাবেন না।বাঙালির লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস খুবই ঐতিহ্যপূর্ণ, তার উত্তরসূরি হিসে♛বে নিজেকে হাস্যকর করে তুলবেন না। জাগো বাঙালি। জয় বাংলা।’
প্রসেনজিতের কী বক্তব্য কাজ বন্ধ হওয়া নিয়ে?
শনিবার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে এই অচল অবস্থা নিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘গত ৯ দিন ধরে আমি, খুবই একটা মানসিক ডিপ্💟রেশনের মধ্যে আছি। আমরা রাতে শোওয়ার আগে একটা দৃশ্য পড়ি, পরদিন সকালে উঠে শ্যুটিংটা করব বলে, তার মধ্যে একটা ভালবাসা আছে। আমি গত ৯ দিন ধরে দেখছি, রাতে সিন পড়ছি, সকালে উঠে শুনছি শ্যুটিং হবে না। এতে একটা ভালোবাসা থাকে, ইমোশন থাকে। যদি আমরা সৃষ্টি না করতে পারি, আমি ৪০ বছরের ওপর কাজ করছ🍸ি, দর্শকও আমাদের কাজ দেখবেন না।’