'রাজার দেশে কাজ করেছি, এখন ফকিরের দেশে কাজ করছি!' অভিমান ঝড়ে পড়ল রত্না ঘোষালের গলায়। আপতত অভিনয় থেকে দূরে ৭০ ছুঁইছুঁই অভিনেত্রী। স্বর্ণযুগে উত্তম কুমার, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করা রত্না ঘোষাল।⛦ পরবর্তী সময়েও একাধিক বাংলা বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে এখন কোথাউ দেখা যায় না তাঁকে। কোথায় হারিয়ে গেলেন তিনি? কেন তাঁকে ছোটপর্দায় দেখা যাচ্ছে না?
এই সব প্রশ্নের জবাব দিলেন খড়কুটোর বড় মা। মনের মধ্যে একগুচ♑্ছ অভিমান তাঁর। সেই অভিমানের জেরেই এখন আর কাজ করেন না। ‘আম অর্পিতা’ নামের এক ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক রত্না ঘোষাল। হালে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির কাজের ধরন একেবারেই পছন্দ হচ্ছে না অভিনেত্রীর। বর্ষীয়ান রত্না ঘ🐟োষালের সাফ কথা, আজকাল ইন্ডাস্ট্রিতে আন্তরিকতার বড্ড অভাব।
তিনি বলেন, ‘ এখন স্টুডিওতে ঢুকলে কেউ কাউকে দেখে না। আমরা ফ্লোরে ঢুকলে ডিরেক্টরকে বলি গুড মর্নিং। সে আমার দিকে তাকিয়ে চলে গেল। একটা ভদ্রতা জানো না…. একজন শিল্পী গুড মর্নিং বলছে, তুমি সেটুকু বলতে জানো না? আমাদের কাছে ডিরেক্টর ছিল বড় ব্যাপার। তিনি ছিলেন🍬 ফ্লোরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ছোটবেলা থেকে শিখেছি ফ্লোরে ঢুকে প্রথমে ডিরেক্টরকে ‘গুড মর্নিং’ বলতে হয়। তারপর টেকনিশিয়ানদের ‘গুড মর্নিং’ বলতে হয়।…. মেগা করা তো ছেড়েই দিয়েছি। ছবির কাজও যদি পছন্দ হয়, যদি সমস্ত কিছু সঠিক দেখি তবেই করব। সেই আন্তরিকতাটা পেলে তবেই করব’।
অভিনয় ছেড়ে থাকবেন, এমনটা কখনও ভাবেননি রত্না ঘো𝐆ষাল। তবে এখন যারা কাজ করেন তাঁদের সঙ্গে খাপ খাইয়ে কাজ করতে পারছেন না বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। এখন পাতার পর পাতা স্ক্রিপ্ট হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। বললেন, ‘আমাদের সময় সহকারী পরিচালক এসে স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনাতেন, তারপর ফ্লোরে যেতাম, রিহার্সাল করতাম এবং শট দিতাম। আরে আমরা কি গোরু, ছাগল? যে শুধু পড়ব আর বলব?’
অভিনয় ওতো সোজা নয়, এর জন্য প্রয়োজন অধ্যাবসায়! কাজের মান পড়েছে, সেটাই ইন্ডাস্ট্রি𝄹র জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। টিভি সিরিয়ালের জগত নষ্ট করে দিচ্ছে চ্যানেলের মাথারা, বিস্ফোরক অভিনেত্রী। যারা কিছু জানে না, তাঁদের দিয়ে অভিনয় করানো হচ্ছে, এর জন্যই সিরিয়াল চলছে না বললেন অভিনেত্রী।
খড়কুটো, ধুলোকণা-র মতো মেগা সিরিয়ালে দেখা মিলেছিল রত্না ঘোষাল। তারপর লম্বা সময় বিরতিতে তিনি। ছোটপর্দায় আর ফিরতে চান না, স্পষ্ট জানালেন সে কথা।&nܫbsp;