তাঁর হাত ধরেই সৃষ্টি হয়েছে বহু জনপ্রিয় কবিতা ও ছড়া। প্রয়াত সেই জনপ্রিয় কবি, ছড়াকার ভবানীপ্রসাদ মজুমদার। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে মৃত্যু হয়েছে কবির। মৃত্যুকালে ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।&nbs💮p;
মূলত ছোটদের জন্যই লিখতেন ভবানীপ্রসাদ মজুমদার। তাঁর লেখায় বারবার উঠে এসেছে সামাজিক স্যাটায়ার। 'জানেন দাদা, আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না', এই কবিতার সঙ্গে বাঙালিই পরিচিত। আর এই লেখার সৃষ্টিকর্তা ভবানীপ্রসাদ মজুমদার। নিজের জীবনে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি ছড়া লিখেছেন তিনি। নিজের লেখায় করেছেন নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা। মজার ♈ছড়া, সোনালি ছড়া, 'কলকাতা তোর খোল খাতা', ‘হাওড়া-ভরা হরেক ছড়া’, ‘ডাইনোছড়া’র মতো বহু বই লিখেছেন। লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সত্যজিৎকে নিয়েও। লিখেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ নইলে অনাথ’, ‘ছড়ায় ছড়ায় সত্যজিৎ’-এর মতো কবিতা।
কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের জন্ম ১৯৫৩ সালেরജ ৯ এপ্রিল হাওড়া জেলার জগাছা থানার অন্তর্গত দাশনগরের কাছে দক্ষিণ শানপুর গ্রামে। তাঁর বাবা ছিলেন নারায়ণচন্দ্র মজুমদার এবং মা ছিলেন নিরুপমা দেবী। কবির শৈশব জীবন কেটেছে সেই গ্রামেই। কর্মজীবনে প্রবেশ করে কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদার শিক্ষকতা করেছেন। বিশিষ্ট এই কবি ও ছড়াকার হাওড়া জেলার শানপুর গ্রামের কালিতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়-এ একজন শিক্ষক হিসাবে নিজের কর্মজীবন♚ শুরু করেন। পরে তিনি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। সেই সঙ্গে লেখালিখিও চালিয়ে গিয়েছেন।
তিনি সাম্মানিক হিসাবে সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকে, সন্দেশ পত্রিকার তরফে ‘সুকুমার রায় পদক’ পান। লেখালেখির জন্য রা༒ষ্ট্রপতির হাত থেকেও পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর লেখা ছড়ার মতো সবথেকে বেশি জনপ্রিয় 'আ-মরি বাংলা ভাষা'এবং ‘বাংলাটা ঠিক আসে না’। এই দুটি কবিতা যাঁরা সে অর্থে তাঁর পাঠক নন, তাঁরাও পড়েছেন বা শুনেছেন। এই দুটি লেখার মধ্য়েই কি🌌ছু বাঙালির কাছে বাংলা ভাষার অবহেলার ছবিটা ব্যঙ্গ করে তুলে ধরেছেন কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদার।