সুশান্ত মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত মাদককাণ্ডে ২৭ দিন জেলে কাটিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। আপতত জামিনে মুক্ত সুশান্ত মামল𝕴ার মূল অভিযুক্ত। রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী গতকালই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমে, এবার নায়িকা নিজেই সিবিআইয়ের কাছে 🉐অভিযোগ জমা দিলেন নিজের প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। মিডিয়া চ্যানেলকে দেওয়া বয়ানে ডিম্বল থাওয়ানি নামের ওই প্রতিবেশী বেশ কিছু মিডিয়া চ্যানেলে দাবি করেন কেউ ওঁনাকে বলেছেন সুশান্ত নাকি ১৩ই জুনের সন্ধ্যাবেলা রিয়াকে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে যান।
পরের দিন ১৪ জুন সুশান্তের মরদেহ উদ্ধার হয় তাঁর বান্দ্রার কার্টার রোডের ফ্ল্যাট থেকে। প্রাথমিকভাবে সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত চꦬালাচ্ছিল মুম্বই পুলিশ, যাঁদের দাবি এই মামলা নিছক আত্মহত্যা। যদিও সেই তদন্তে সন্তুষ্ট ছিল না পরিবার, ফলে সুশান্তের মৃত্যুর পౠ্রায় ৪০ দিন পর বিহার পুলিশে অভিযোগ দারের করেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং। সেই এফআইআরে সুশান্তের মৃত্যুর জন্য রিয়া ও তাঁর পরিবারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। এরপর বিহার সরকারের সুপারিশ মেনে এই মামলার তদন্তভার গিয়ে পৌঁছায় সিবিআইয়ের হাতে, পরে সেই সিদ্ধান্তে সুপ্রিম কোর্টের সিলমোহর পরে।
তদন্ত চলাকালীন মুম্বই পুলিশ থেকে সিবিআই, এমনকি নির্দিষ্ট সংবাদ মাধ্যমেও রিয়া চক্রবর্তী জানিয়েছেন ৮ জুন সুশান্তের ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে আসেন তিনি। এরপর নিজের প্রেমিকের সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক ছিল না তাঁর, ৯ তারিখ সুশান্তের ফোন নম্বরও ব্লক করে দিয়েছিলেন রিয়া। যদিও তাঁর প্রতিবেশী ডিম্পল থেওয়ানির গলায় শোনা যা♊য় অন্য সুর। তিনি বলেন, একজন প্রত্যক্ষদর্শী তাঁকে জানিয়েছে ১৩ তারিখ সন্ধ্যায় সুশান্ত রিয়াকে জুহুর প্রাইমরোজ আবাসনে ছাড়তে এসেছিলেন। যা রিয়া চক্রবর্তীর ঠিকানা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে রিয়ার প্রতিবেশীকে। সূত্রের খবর, মিডিয়ার সামনে দেওয়া বয়ানের সারবত্তা নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে কিছুই জবাব দিতে পারেননি ডিম্পল। সেই নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের তরফে হুঁশিয়ারও করা হয়েছে তাঁকে। ওই মহিলার বিবৃতি রেকর্ড করার পর সিবিআই জানিয়ে দেয় এই মামলা নিয়ে কোনও মিথ্যা কথা কিংবা সারবত্তাহীন কথা যেন তিনি আর না বল൩েন।
রিয়া সিবিআইকে ডিম্বলের নামে লেখা অভিযোগের কপিতে বলেছেন, সে ইচ্ছাকৃতভাবে রিয়াকে ফাঁ🌺সানোর জন্য এই কাজ করেছে। যাতে তদন্তের মোড় ঘুরে যেতে পারে। রিয়া আরও লেখেন ডিম্পলের এই মিথ্যা বয়ান আইপিসির ২০৩ (ভুল তথ্য দেওয়া) , ২১১ (ইচ্ছাকৃতভাবে🐠 কারুর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক চার্জ আনা) ধারা অনুযায়ী শাস্তিমূলক অপরাধ।
রবিবারই রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে প্রেস বিবৃতিতে জানান- 'যেমনটা আমি বলেছিলাম, রিয়া জামিনে বাইরে এসে আমরা তাদের💖 বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব যারা ওঁর মানহানি করেছে এবং রিয়ার জীবন ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে দু-মিনিটের খ্যাতির জন্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বয়ান দিয়ে। আমরা সিবিআইকে একটি তালিকা দেব, যেখানে টিভিতে বা ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ভুয়ো এবং মিথ্যা বয়ান দেওয়া হয়েছে সুশান্তের মামলা সম্পর্কিত, যেখানে রিয়ার নাম জড়িয়ে আছে। আমরা সিবিআইয়ের কাছে আবেদন জানাব তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার প্রচেষ্টার জন্য।
সুশান্তের মৃত্যু মামলায় খুনের তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছে এইএমসের বিশেষজ্ঞ🌃 চিকিত্সকদের প্যানেল, এমনই খবর উঠে এসেছে মিডিয়ায়। তবে গোটা বিষয় নিয়ে কোনওরꦿকম আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।