সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের তরফে বিস্ফোরক অভিযোগ আনা হয়েছে প্রয়াত অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই খবর সামনে আসবার পরই আইনি লড়াইয়ের জন্য ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছেন রিয়া। জানা গিয়েছে এই মামলায় রিয়ার হয়ে সওয়াল করবেন জনপ্রিয় আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে। দেশের অন্যতম সেরা ক্রিমিন্যাল লইয়ার হিসাবে পরিচিত সতীশ মানেসিন্ধে। দিল্লিস্থিত এই আইনজীবী এর আগে বলিউড তারকা সলমন খান,সঞ্জয় দত্তের হাই প্রোফাইল মামলা সামলেছেন। সলমনের কৃষ্ণসার হত্যা এবং সঞ্জয় দত্তে ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত মামলার আইনজীবী ছিলেন সতীশ মানেসিন্ধে। রাম জেঠমালানির জুনিয়ার হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সতীশ মানেসিন্ধে। ২০০২ সালে সলমন খানের মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর মামলায় অভিনেতার জামিন মঞ্জুর করিয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন সতীশ মানেসিন্ধে। ছোটা রাজনের স্ত্রী সুজাতা নিকালজের হাই প্রোফাইল মামলারও দায়িত্বে ছিলেন সতীশ মানেসিন্ধে। রিয়া ও অভিনেত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত, সুশান্তের সঙ্গে প্রতারণা (আর্থিক ও মানসিক) এবং তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মতো অভিযোগ এনেছেন কেকে সিং। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা), ৩৪১,৩৪২,৩৮০,৪০৬, ৪২০-ধারায় রিয়ার পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে পাটনার রাজীব নগর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং।গতকাল রাতেই সতীশ মানেসিন্ধের সহকারী আনন্দিনি ফার্নান্দেজকে রিয়ার বাড়িতে দেখা গিয়েছিল। প্রায় তিনঘন্টা রিয়ার ফ্ল্যাটে ছিলেন এই আইনজীবী। সূত্রের খবর আজই আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করতে চলেছেন রিয়া। গতকালই সেই সংক্রান্ত যাবতীয় কাজই সই করেছেন রিয়া চক্রবর্তী। বিহার পুলিশের তরফে রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এখনও খোঁজ নেই সুশান্তের বান্ধবীর। ইটি টাইমস সূত্রে খবর, গতকাল রাত থেকেই রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগের লাগাতার চেষ্টা করা হচ্ছে পাটনা পুলিশের সঙ্গে, তবে এখনও কোনওরকম সাড়া মেলেনি তাঁর। গ্রেফতারি এড়াতেই অন্তর্বর্তী জামিন না পাওয়া পর্যন্ত পাটনা পুলিশের মুখোমুখি হতে চাইছেন না রিয়া চক্রবর্তী, মনে করছেন আইনি বিশেষজ্ঞরা।