এর আগে আরজি করের প্রতিবাদে শাঁখ বাজিয়ে তীব্র ট্রোলের মুখে পড়েছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তবে তারপরেও তিনি চুপ থাকেননি, সাধারণের সঙ্গে মিশে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। তবে ৪ অগস্ট, বুধব𓄧ার শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে প্রতিবাদের অংশ হতে গিয়ে ফের একবার গো-ব্যাক স্লোগান শুনতে হয়েছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। এমনকি কেউ কেউ উলুধ্বনি এবং শাঁখ বাজিয়ে ব্যঙ্গও করতে ছাড়েননি। তবে এমন অনভিপ্রেত ঘটনার মুখোমুখি হয়ে কী বলছে⛄ন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত?
শ্যামবাজারের ঘটনা প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আনন্দবাজারকে বলেন, ‘আমাকে গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়েছে। উলুধ্বনি এবং শাঁখ বাজিয়ে ব্যঙ্গও করা হয়েছে, তবে তাতে আমি কিছু মনে করিনি। তবে এরপর আমার💛 গাড়িতে জুতো ছোড়া হয়। তখন আমি গাড়ির দরজা খুলে বলি, আপনারা এমন করবেন না, আপনাদের সঙ্গে কথা বলতেই এসেছি, বসতে এসেছি। তবে কেউ কোনও কথাই শুনলেন না। আমার মনে হয় প্রতিবাদের কথা না মনে রেখে জমায়েতে হুজুগে চলে গিয়েছিলেন। বুঝতে পারছি যে সকলে⛎ই ক্ষুব্ধ। তবে কলকাতার এই চেহারাটা দেখে আমি লজ্জিত, আহত, কম্পিত। বুধবার রাতে আমার প্রাণটাও চলে যেতে পারত।’
ঋতুপর্ণার কথায়, তিনি অরাজনৈতিক, নিরপক্ষ মানুষ হিসাবে, একজন মহিলা হিসাবে মহিলার পাশে দাঁড়ানোর জন্যই তিনি গিয়েছিলেন। তবে তাঁর অভিযোগ, একটা সংখ্যক মদ্যপ-✃ই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। জানান, হঠাৎ করে আসা একটা জনস্রোত তাঁকে ধাক্কা দিতে শুরু করে। এত🍎টাই চিৎকার-চেঁচামিচি হচ্ছিল যে তিনি কিছু শুনতে পাচ্ছিলেন না।
ঋতুপর্ণা আরও বলেন, তিনি কোনও তারকা হিসাবে নয়, সাধারণ নাগরিক হিসাবেই গি൲য়েছিলেন। গতকাল (বুধবার) শ্যামবাজার মোড়ে নিহত চিকিৎসকের বাবা-মাও ছিলেন🍌। তাই অভিনেত্রী জানান, তিনি ভেবেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন। তবে সেখানে যে ঘটনার মুখোমুখি তাঁকে হতে হয়েছে, সেটা আর সম্ভব হয়নি। তবে সবশেষে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জানান, যাই ঘটুক, তিনি থেমে থাকবেন না। তাঁর মনে প্রতিবাদ থাকবেই।
এদিন ভিড়ের মাঝে তাঁকে ‘চটিচাটা’ বলেও আক্রমণ করা হয়, এই ঘটনা প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা বলেন, এটা অসভ্যতা, যাঁরা এটা করেছেন তাঁদের উদ্দেশ্য আন্দোলন নয়। তাঁর প্রশ্ন, 'প্রতিবাদ জানানো, সমবেদনা জানা𒅌নো কি অন্যায়? এক নারীর হয়ে আন্দোলনে সামিল হতে গিয়ে অন্য নারীকেই হেনস্থার শিকার হতে হল?'
অভিনেত্রীর আরও জানান, তাঁর গাড়ি হাജত দিয়ে মেরে মেরেই তুবড়ে দেওয়া হয়। তবে এত কিছুর পরেই মনে কোনও ক▨্ষোভ না রেখে ঋতুপর্ণা বলেন, তবে আমার মনে হয় যাঁরা এটা করলেন, তাঁরা নিজেরাও জানেন না যে কী করছেন!’