বহুদিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন, চিকিৎসার জন্য দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়াও হয়েছিল তাঁকে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে মাত্র ৬৬ বছর বয়সেই মৃত্যু হয় জনপ্রিয় ওড়িয়া অভিনেতা উত্তম মোহান্তির। অভিনেতার ছেল♉ে বাবুসান তাঁর বাবার ম🔯ৃত্যুর খবর সকলকে জানান।
তবে শুধু ওড়িয়া ছবির দুনিয়াতেই নয়, বাংলা ছবিত🐭েও নিজের ছাপ রেখে গিয়েছেন উত্তম মোহান্তি। অভিনয় করেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মতো তারকা অভিনেত্রীদের সঙ্গেও। উত্তম মোহান্তিক মৃত্যুকে শোকজ্ঞাপন করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
শোকবার্তায় স্মৃতির প☂♏াতা থেকে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, মানুষ, অভিনেতা চলে গেলেন। ওড়িয়া সিনেমার সাম্রাজ্যে উনিই মহানায়ক। এখানে যেমন উত্তম কুমার ওখানেও তেমনই উত্তম মোহান্তি। এই মহানায়কের দারুণ এক অধ্যায়, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর অনেক অবদান। বাংলা এবং ওড়িয়া, দুই ভাষাতেই উনি কাজ করেছেন।’
তাঁর সঙ্গে কাজের স্মৃতি তুলে ধরে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘আমারও সৌভাগ্য হয়েছিল মানুষটার সঙ্গে কাজ করার। আমি তখন সবে অভিনয় দুনিয়ায় এসেছি। ছবি করা শুরু করেছি, তখন উনি আমার নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ভাবা যায়! আর আমার ভীষণ ভালো লাগত ওনাকে। এত সুপুরুষ! আমি তখন খুবই বাচ্চা ছ🦋িল, ওনাকে দেখে আমার মন ভালো হয়ে যেত। এত সুন্দর ওনার চেহারা, ব্যবহার, ওনার হাসি, কী যে ভালো লাগত…। আমি ওঁর জন্মস্থান বারিপাদায় গানের শ্যুটিং করেছি। ওই ছবিতে মহেশ্বেতাদিও ছিলেন, আমিও ছিলাম। ছবিতে বাবা ও ছেলের চরিত্র ছিল। ছেলের চরিত্রে ওঁর নায়িকা হয়েছিলাম আমি। উনি বলেছিলেন, বাচ্চা মেয়েটা কোথা থেকে এল! যে হিরোইন হয়েছেও।’
এখানেই শেষ নয়, আরও স্মৃতি আছে। ঋতুপর্ণা বলেন, ‘ওনার সঙ্গে আমি নাগপঞ্চমী করেছি, যদিও ওখানে উনি আমার নায়ক ছিলেন না, তবে একসঙ্গে কাজ করেছিলাম। আরও বেশকিছু ওড়িয়া ছবিতে আমি ওনার সঙ্গে কাজ করেছি, তাও আবার বিভিন্ন চ🌼রিত্রে। দুটি ছবিতে উনি আমার নায়ক হয়েছিলেন। আবার উনি আমার বাবা, কাক♒ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। স্বপন সাহার ছবিতে উনি আমার বাবা হয়েছিলেন। লম্বা সময় ধরে উনি কাজ করেছেন। উত্তমদা দীর্ঘ সময় ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্টিকে চালনা করেছেন দীর্ঘ সময় ধরে।’
ফের বলেন, ‘আমার বেশ মনে আছে, আমরা যখন লেক মার্কেটে থাকতাম, উনি আমাদের বাড়ির কাছে কাজ করতে আসতেন। ট্রানজিট বলে একটা গেস্ট হাউস আছে, সেখানেই উত্তমদা উঠতেন তখন। টিকি দির সঙ্গেও অনেক গল্প করেছি। আমার বাবাকে খুব শ্রদ্ধা করতেন উত্তমদা। অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। যখনই ওড়িশা গিয়েছি, ভূবনেশ্বর গিয়েছি, উত♚্তমদার খোঁজ করেছি, দেখাও করেছি।
অতি সম্প্রতি যখন শুনলাম উনি অসুস্থ, তখনও ওঁর খোঁজ নিয়েছি। কিছুদিন হল উনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। 🀅বড় অকালেই চলে গেলেন। তবে একটা বড় সাম্রাজ্য সাজিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। তাঁর ছেলে বাবুসানও এখন বড় হিরো। তাঁর যোগ্য উ🅠ত্তরসূরি। একটা অসাধারণ একটা জীবন কাটিয়ে উত্তমদা চলে গেলেন। তবে ওঁর ঐতিহ্য সবসময় বাংলা ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে থাকবে। উনি একজন অনুপ্রেরণ বললেও ভুল হয় না। ভালো অভিনেতা, ভালো মানুষ উনি, চিরকাল আমাদের মনে থেকে যাবেন। ’