নতুন ধারাবাহিক 'আনন্দী'র হাত ধরে ফের একবার পর্দায় ফিরছেন অভিনেত্রী রূপা (রূপালী) ভট্টাচার্য। এদিকে এসবেরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার হুমকি পাওয়ার অভিযোগ আনলেন রূপা। এধরনের হুমকির ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তিনি। 𒈔এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ-প্রসাশনের বিরুদ্ধে নির্বিকার থাকার অভিযোগ তুলেছেন রূপা।
এবিষয়ে আনন্দবাজারকে অভিনেত্রী রূপা (রূপালী ভট্টাচার্য) জানান, আরজি কর কাণ্ডের শুরু থেকেই প্রতিবাদে সামিল তিনি। কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নয়, ব্যক্তিগত অনুভূতি থেকেই এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন তিনি। নির্যাতিতা চিকিৎসক তরুণীর মতো তিনিও একজন মেয়ে। বর্তমানে রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে যেকোনও মহিলার সঙ্গেই এই অঘটন ঘটতে পারে। আর সেই জায়ওগা থেকেই তিনি প্র🍨তিবাদ করেছেন। আর তাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে তাঁকে। এমনকি তাঁর চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ রূপার। অভিনেত্রীর কথায়, তাঁকে আক্রমণ করে যে সব ভাষা প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেগুলি এতটাই নিম্ন রুচির তা তিনি মুখেও আনতে পারবেন না।
অভিনেত্রীর দাবি, এবিষয়ে তিনি অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখায় ইমেলও করেছেন। তবে কোনও জবাব মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কলকাতা পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন, তাতেও লꦍাভ হয়নি। এদিকে তাঁকে হুমকি দেওয়ার পরিমান ক্রমাগত বেড়েছে। তাঁর অভিযোগ, এক্ষেত্রে প্রশাসন চুপ থেকে অুপরাধীদের মদত দিচ্ছে। তাই রূপা ভট্টাচার্যের প্রশ্ন ‘রক্ষকই যদি দর্শক হয়, তাহলে নিরাপত্তা কে দেবে?’
প্রসঙ্গত, এই বিষয়টি বিয়ে নিজের ফেসবুকের পাতাতেও সরব হতে দেখা গিয়েছে রূ♏পাকে। মঙ্গলবারই অভিনেত্রী ফেসবুকে তৃণমূল কংগ্রেস কে আক্রমণ করে লেখেন, ‘Tmc , IT cell এবার মেয়েদের dp ব্যবহার করে বিভিন্ন locked fake প্রোফাইল থেকে এলো মেলো random গালাগালি দিচ্ছে । ওই যা যা ওদের নেতা নেত্রীদের থেকে শেখে।আমায় যারা tag করছে অন্যও কোনও পোস্টে সেখানে কমেন্টে এসব করছে। আর Kolkata Police কে মেলের পর মেল করছি কিন্তু কিন্তু উপরতলার order ছাড়া তারা তো কিছু করে না। বুঝলাম আমার মত নগণ্য এক অভিনেত্রীও ওদের জন্য এত বিপদজনক ! এই IT সেল ই আমায় জননেত্রী বানিয়ে দেবে যা বুঝছি।’ সবশেষে এই পোস্টের নিচে নেটিজেনদের উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘Angry react দেবেন না। Reach will decrease’।
প্রসঙ্গত, রূপা ভট্টাচার্য একসময় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এদিকে মঙ্গলবার নিজের আরও একটা পোস্টে তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়কদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে লিখেছিলেন, যে সব নেতা মন্ত্রী বিধায়ক সাংসদরা ( একাধিক রাজনৈতিক দলের ) জুনিয়র ডাক্তারদের এখনো তোপ দেগে যাচ্ছেন তারা মাথায় রাখবেন জুনিয়র ডাক্তারদের সকল সিদ্ধান্তর পাশে সিনিয়র ডাক্তাররা এবং IMA আছে । তাই আপনাদের পরিবারের কাউকে কখনোই ডাক্তারꩵদের থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে হবে না এমন অহংকারে থাকবেন না। আপনাদের চৈতন্য হোক।'