বৈশাখ পড়লেই বিয়ের সানাই বাজবে টেলিপাড়ায়। ১৯শে এপ্রিল প্রজাপতি ঋষির আর্শীবাদ নিয়ে, অগ্নিসাক্ষী রেখে চারহাꦏত এক হবে রাতুল-রূপাঞ্জনার। ভালোবেসে ৬ বছর আগে পরস্পরের হাত ধরেছিলেন দুজনে। এবার নিজেদের সহবাস সম্পর্ককে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে চলেছেন তাঁরা। ব্যান্ড-বাজা-বারাতের অপেক্ষা, কিন্তু তার আগে শুরু হয়ে গেল আইবুড়ো ভাত খাওয়ার পর্ব।
ইদের আগের দিন ছেলেবেলার বান্ধবী শহরের এক নামী বাঙালি রেস্তোরাঁয় আইবুড়ো খাওয়ালেন রূপাঞ্জনা ও তাঁর হবু বর রাতুলকে। আনন্দমাখা সেই ঝলক সোশ্যাল মিডꩲিয়ার দেওয়ালে তুলে ধরেন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র লাবণ্য। টেবিলে সাজানো পঞ্চব্যাঞ্জন তবুও হবু বউয়ের উপর থেকে চোখ সরছে না রাতুলের।
আইবুড়ো ভাত খাওয়ার জন🌼্য সোনালি জরির কাজ করা গোলাপি সিল্ক শাড়িতে সেজেছেন রূপাঞ্জনা। তাঁর চোখে মুখে খুশির ঝিলিক, স্বপ্নপূরণের আনন্দ। পাশে একদম ক্যাজুয়াল পোশাকে পাওয়া গেল রাতুলকে। জিনস, কালো-টিশার্টের উপর বোতাম🌟 খোলা শার্টে পরিচালক।
বান্ধবী নিষ্ঠাভরে সেরেছেন যাবতীয় আয়োজন। আবেগতাড়িত রূপাঞ্জনা লেখেন, ‘আমাদের🦋 বিয়ের আগে এমন সুন্দর একটা আইবুড়োতের আয়োজনের জন্য ঝিমলির কাছে আমরা দুজন সত্যিই কৃতজ্ঞ। তোমার এই মহৎ ভাবনায় আমাদের হৃদয় পরিপূর্ণ’।
আইবুড়ো ভাতের মেনু ছিল জিভে জল আনা। কাঁসার থালায় পরিবেশন করা হল খাবার। প্রদীপ জ্বালিয়ে ধান দূর্বা দিয়ে হল আর্শীবাদের পর♕্ব। তারপর পায়েস দিয়ে মিষ্টি মুখ। মেনুতে ছিল লুচি, ভাত, সুক্তো, ডাল, ঝুরি আলুভাজা, হরেক রকম তরকারি, পাঁঠার মাংস, ফিস ফ্রাই, চাটনি ও মিষ্টি।
ভালোবেসে রে💃জাউল হককে বিয়ে করেছিলেন রূপাঞ্জনা মিত্র। সে প্রায় ১৭ বছর আগের কথা। কিন্তু ছেলের জন্মের পরপরই দূরত্ব তৈরি হয় দুজনের। ২০১৭ সালে আইনি বিচ্ছেদ হয় 𓃲তাঁদের। রূপাঞ্জনার যখন প্রথম বিয়ে ভাঙে রিয়ান (রূপাঞ্জনা পুত্র) তখন সবে চার বছরের। ‘বাবা’ হিসাবে রেজাউলকে কাছে পায়নি সে। কিন্তু সেই অভাব পূরণ করেছেন রাতুল।
গত বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি মিরিকের ডন বস্কো চার্চে আংটি বদলটা সেরেছিলেন রাতুল-রূপাঞ🍒্জনা। সেই ঘটনার একমাত্র সাক্ষী ছিল রিয়ান। ছেলের মুখ চেয়েই বিয়েটা সারছেন তাঁরা। রাতুলের বিশ্বাস রূপাঞ্জনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করে রিয়ান। তিনি জানিয়েছেন, 'ওকে ঘিরেই সবটা। আমাদের (বিয়ের) এই সিদ্ধান্তে, আমাদের সম্পর্কে রিয়ানের অবদান অনেকটা।'
রাজারহাট নিউটাউনের একটি হোটেলে ১৯তারিখ বসছে বিয়ের অনুষ্ঠান। অগ্নিসাক্ষী রেখেই সাত পাক ঘুরবেন, ওইদিনেই হবে রেজিস্꧑ট্রি। তবে বিয়ে-রিসেপশন একই দিনে হচ্ছে। আপাতত 'কালিয়াচক চ্যাপ্টার ১'-এর কাজ নিয়ে ব্যস্ত রাতুল। রূপাঞ্জনা একইসঙ্গে ছোটপর্দা ও বড়পর্দার কাজ সামালচ্ছেন। হানিমুনের পরিকল্পনাও এই ফাঁকেই সেরে ফেলেছেন দুজনে, থুড়ি তিনজনে। রিয়ানকে নিয়েই মধুচন্দ্রিমায় যাবেন রূপাঞ্জনা। বিয়ের পর তাডোবা হয়ে গোয়া বেড়াতে যাবেন তিনজনে।