গত কয়েকদিন ধরেই সংবাদমাধ্যমে চর্চার কেন্দ্রবি🌠ন্দুতে রূপঙ্কর বাগচি। সৌজন্যে প্রয়াত গায়ক কেকে-কে নিয়ে তাঁর এক মন্তব্য। এর জেরে হুমকি ফোন, মেসেজ পর্যন্ত পেয়েছেন রূপঙ্কর। সদ্যই রবীন্দ্রসংগীতে গেয়ে বাঙালির মন ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেছেন রূপঙ্কর, গায়কের কন্ঠে ‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’ শুনে কিছুটা মনও গলেছে 'অভিমানী' শ্রোতা-দর্শকদের।
রবিবার🌜 ফাদার্স ডে, আর এই বিশেষ দিনে বাবা রূপঙ্করের জন্য কলম ধরল মেয়ে মহুল। তারকা রূপঙ্করের বাইরে, মানুষ রূপঙ্কর বাগচি আদতে কেমন সে কথাই তুলে ধরল রূপঙ্করের দত্তক কন্যা। দু’বার সন্তান ধারণের পরেও মা হতে প๊ারেননি রূপঙ্কর ঘরনি চৈতালি। এরপর মহুলকে দত্তক নেন তাঁরা।
এদিন এক সংবাদমাধ্যমে বাবাকে নিয়ে আবেগঘন মহুল। তিনি 𓂃লেখেন, ‘সবার কাছে আমার বাবা তারকা। কিন্তু আমার বা মায়ের কাছে তো তা নয়।’ রূপঙ্কর কন্যার স্পষ্ট কথা, শত ব্যস্ততার মধ্যেও বাবা কোনওদিন তাঁর প্রতি অবহেলা করেননি, বুঝতে দেননি তিনি কোনও অন্য জগতের মানুষ। মেয়ের জন্য সবসময় সময় থাকে রূপঙ্করের কাছে।
মহুলের কথায়,♔ ‘কিছু দিন আগেও রোজ আমায় স্কুলে দিতে যেত। অনুষ্ঠান সেরে ভোর চারটেয় ফিরেও ঠিক স্কুলে যাওয়ার সময় উঠে পড়ত বাবা। বাবা-মেয়ের একান্ত সময়টুকু কোনও দিন মিস করত না।’
বাড়িতে কেমনভাবে অওবসরযাপন চলে বাবা-মেয়ের? গানের চর্চা তো রয়েইছে সঙ্গে ছবি আঁকা, টিভি দেখা, খেলা-সবই চলে সমান তালে। কখনও কখনও একসঙ্গে সাইকেলিং। বাবার পথে হেঁটে সংগীতের চর্চা শুরু করেছে মহুল। অনেক সময়ই রূপঙ্করের গানে ইউকুলেলে বাজিয়ে সঙ্গত দেয় মেয়ে।
এই বছর ‘ফাদার্স ডে’-তে বাবার জন্য একটা বিশেষ কার্ড বানিয়েছে মহুল, সঙ্গে একটা কবিতাও লিখেছে। এই দিনটায় মহুলের একমাত্র প্রার্থনা, ‘আমার বাবা যেন খুব থাকে। তাঁর সব ইচ্ছে পূরণের চেষ্টা করব আমি’। এই দিনটায় বাবার কাছ𒁏ে একটা মিষ্টি আবদারও রয়েছে তাঁর। আরেকটু বেশি সময় মহুল কাটাতে চায় তাঁর প্রিয় বাবার সাথে।
গত কয়েকদিন বাবা কী সাংঘাতিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে গেছে, তা প্রতি ক্ষণে টের পেয়েছে মহুল। সেই সময় বাবাকে আগলে রাখার চেষ্টা করেছে সেﷺ। এদিন সবার উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘আমার বাবার নাম রূপঙ্কর বাগচি। এক জন শিল্পী। এক জন তারকা। আর তারকাদেরও কিন্তু যন্ত্রণা হয়!’