বিদেশ বিভুঁইয়ের মাটিতে বাংলার শিল্পীদের ꧟অসম্মান, অপমান নিয়ে বার বারই সরব হতে দেখা গিয়েছে সঙ্গীতশিল্পী সাহানা বাজপেয়ীকে। তাঁর কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত বারবার মুগ্ধ ক♋রে দুই বাংলাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই নিজের বক্তব্য পেশ করেন। যে কোনও ঘটনায় নানা ধরনের মন্তব্য খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তেমনি সাহানা বাজপেয়ীর কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনে কটাক্ষ করলেন এক নেটিজেন। গান নিয়ে কাটাছেঁড়া তো চললই, সঙ্গে এক নারীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে কুণ্ঠা বোঝ করলেন না তিনি। সেই মন্তব্যই নজর এড়ায়নি সঙ্গীতশিল্পীর। পালটা উত্তর দিতেও ভোলেননি সাহানা। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে গোটা বিষয়টি তুলে ধরলেন সঙ্গীতশিল্পী। আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি, কেমন আছে๊ন বাসন্তী দেবী? কবে ছুটি পাচ্ছেন, জানালেন ভাস্বর
‘জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে আজ’ গানটি শোনার পর সাহানাকে মন্তব্য করেছেন এক নেটিজেন। তিনি লিখেছেন, ‘কিছু মনে করবেন না, একটা ৬.৩৮ মিনিটের গানে ২:০৮ মিনিট prelude বাজছে, এটা শুনলে কবিগুরু গীতবিতান ছুঁড়ে মারতেন। পারলে একবার জর্জ বিশ্বাস শুনে নেবেন।’ তার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাহানা লিখেছেন, ‘কাকে ছুঁড়ে মারতেন? আমাকে? না না মনে কেন করব? আপনি একদম সঠিক বলেছেন। গান শোনার এখন একটা সুবিধেও হয়⛎েছে। আপনি না শুনতে চাইলে স্বচ্ছন্দে অন্য গানে চলে যেতে পারেন। রব🅰ীন্দ্রনাথ আমাকে গীতবিতান ছুঁড়ে মারতে চাওয়ার মতন একজন মহিলাকে এরকম ভায়োলেন্ট কথা বলতে হত না একটা গান গাওয়ার জন্য জনসমক্ষে। তবে আপনাকে চিনতে গেছিলাম আপনার প্রোফাইলে। আপনার এই বক্তব্যে আমি একেবারেই বিস্মিত নই আর। আর আমি পারলে কাকে শুনবো বা আমার গান শোনার পরিসর বিষয়ে আপনাকে মতামত না দিলেও চলবে। ধন্যবাদ।’
ওই ব্যক্তির মন্তব্যের স্ক্রিনশট শেয়ার করে সাহানা লিখেছেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। উদাহরণস্বরূপ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি ৬.৩৮ মিনিটের একটি গানের জন্য ২.০৮ মিনিটের প্রিলিউড-সহ আমার "আজ জ্🦹যোৎস্নারাতে" গানটি শুনতেন (অপ্রতিদ্বন্দ্বী অধ্যাপক বুদ্ধদেব দাশের এসরাজে বাজানো) তবে তিনি হয়ত💞ো তাঁর গীতবিতানটি আমার দিকে ছুঁড়ে দিতেন। আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করা একমাত্র উদ্দেশ্য। আমি এই লোকটির প্রোফাইলে গিয়েছিলাম এবং মোটেও অবাক হইনি! তাই উত্তর দিলাম!’
জনৈক ব্যক্তির এমন মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাহানা ভক্তরা। এক ব্যক্তি পোস্টে লিখেছেন, ‘রবি ঠাকুর বোধয় স্বপ্নাদেশ দিয়েছেন। আশ্চর্য্য রকমের সেলফ অবসেসড লোকজন আজকাল ! সব জানি সব বুঝে গেছি আমি ই ঠিক - প্রমাণে ব্যস্ত! আর মহিলা পাইলে তো কথাই নাই : ইগো স্যাটিসফ🐠াই করাটা যেন জরুরি হয়ে দাঁড়ায়! নাম টা ঢাকলে কেন? খোঁচাতে এসেছে যখন পাবলিকের খোঁচা অপেনলিই খাক’।
কারও মন্🌳তব্য, ‘কি অদ্ভুত সব! বললিনা কেন যে বারবার এরকমই করবো আমার গীতবিতান এর কালেকশন বাড়ানোর জন্য! সিরিয়াসলি কোথায় যাচ্ছি আমরা!’ কেউ লিখেছেন, ‘যাক্, এসব কচকচির ফলে আমার গানটা শোনা হܫয়ে গেল এবং চমৎকার লাগলো। গানটা উপলব্ধি করে, অন্তরে নিয়ে গাইলে এমন একটা প্রিল্যুড আসতেই পারে এবং এখানে অত্যন্ত যথাযথ মনে হয়েছে। আর একটা সোলো এসরাজ কী কান্ড করতে পারে রে বাপ! এটা ব্যবহার করাটাই তো মারাত্মক ব্যাপার।’
রবীন্দ্রনাথের চারণভূমি শান্তিনিকেতনে কেটেছে সাহানা বাজপেয়ীর ছোটবেলা। সেখানেই বাবা বিমল বাজপেয়ীর কাছে সঙ্গীতে হাতেখড়ি তাঁর। মাত্র তিন ব🌳ছর বয়সেই প্রথম গান শেখা। এম💫নকি পাঠ নিয়েছেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওপরেও। পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথের অজস্র গান জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই গায়িকার কণ্ঠে।