মেলালেন তিনি মেলালেন। থুড়ি রাখলেন তিনি কথা রাখলেন। কে? পরিচালক মণীশ শর্মা। ‘টাইগার ৩’ মুক্তির আগে যা যা বলেছিলেন সবটা মিলে গেল। ১২ নভেম্বর দীপাবলির দিন মুক্তি পেল সলমন খান অভিনীত ‘ট🍷াইগার ৩’। কিন্তু কেমন হল যশরাজ স্পাই ইউনিভার্সের নতুন ছবি?
‘টাইগার ৩’ -এর গল্প
অতীত থেকে বর্তমানের সহজ যাতায়াত ফুটে উঠেছে ‘টাইগার ৩’ -এ। জোয়ার গল্প সবাই জানলেও তার ইতিহাস জানা যাবে এই ছবিতেই। জোয়ার বাবার হাতে তৈরি হয়েছিলেন প্রাক্তন আইএসআই অফিসার অতীশ রহমান। কিন্তু ﷽একটি দুর্ঘটনায় মারা যান জোয়ার বাবা। তখন তাঁকে আইএসআই এজেন্ট হিসেবে গড়ে পিঠে তোলেন রহমানই। কিন্তু কোথায় আর কেন ছন্দপতন ঘটে তাঁদের সম্পর্কে? কেনই বা আলাদা হয়ে যায় তাঁদের পথ? কীভাবেই বা এই ছবিতে ফের এক হন তাঁরা সবটাই তুলে ধরা হয়েছে গল্পে❀। তার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক। দুই দেশ শান্তি বজায় রাখতে তৎপর। হিংসার বদলে ব্যবসা বাড়াতে আগ্রহী যখন তখন কীভাবে বিপদ উঁকি দেয়, টাইগার জোয়ার জুটি কী করেই বা সেই বিপদকে আটকায় সেটা নিয়েই ‘টাইগার ৩’।
আরও পড়ুন: তো💮য়ালে পরে মারপিট! 'টাইগার ৩'🔯-এর অ্যাকশন দৃশ্য কীভাবে শুট করেছিলেন ক্যাটরিনা?
আরও পড়ুন: ভোর ৬টায় টাইগার ৩ এর শো শু💦নে হতভম্ভ ভাইজান, সলমন বললেন, 'আমি তো নির্ঘাত...'
পাঠান ছবি ༒যখন মুক্তি পায় তখনই সেখানকার সংলাপ থেকে বোঝা গিয়েছিল যে এই ছবিতে শাহরুখ খান ওরফে ‘পাঠান’-এর ক্যামিও থাকবে। হ্যাঁ, কিং খান আছেন। তাঁর এন্ট্রি থেকে টাইগার-পাঠানের যুগলবন্দি থুড়ি একসঙ্গে বিপক্ষের ল𝓀োকজনকে পেটানো সবটাই এক কথায় ' ওয়াও!'
‘টাইগার ৩’ মুক্তির আগে পরিচালক নিজেই বলেছিলেন এই ছবিতে সলমন খানের এন্ট্রি ১০ মিনিটের। ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে দেখিনি, তবে সিনটা যে বেশ লম্বা এবং একাধিক ও꧙য়াও মোমেন্টে ভরা সেটা বলাই যায়। রুদ্ধশ্বাস অ্যাকশনে ভরপুর ছিল গোটা সিন।
কার অভিনয় কেমন লাগল?
দীর্ঘদিন পর টাইগারকে স্বমহিমায় দেখে বেশ লাগল। তবে অ্যাকশনের ক্ষেত্রে এই ছবিতে টাইগারকে কাঁটায় কাঁটায় টক্কর দিয়েছেন♔ জোয়া। তাঁদের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি আরও একবার মুগ্ধ করবে সকলকে। অ্যাকশনে ভরপুর এই ছবি। আর প্রতিটা অ্যাকশন দৃশ্যই নজরকাড়া। গাড়ি চেজিং থেকে মারপিট, হেলিকপ্টার থেকে ঝাঁপ কিছুই বাদ যায়নি।
জোয়া ওরফে ক্যাটরিনার তোয়ালে নিয়ে অ্যাকশন দৃশ্য অবশ্যই💟 প্রসংশনীয়। এছাড়া শেষ দিকে দুই হাতে বন্দুক নিয়ে যেভাবে ক্যাটরিনা শত্রুদের মারলেন তা দেখে তারিফ করতেই হয🥂়।
অন্যদিকে সলমন এন্ট্রি সিন থেকে শুরু করে একাধিক অ্যাকশন দৃশ্যে আলাদা ভাবে নজর কেড়েছেন। তবে এই ছবির মূল ই🌼উএসপি তাঁর এবং পাঠানের কেমিস্ট্রি। তাঁদের দুজনের দৃশ্য মনে করিয়ে দেবে শোলে ছবির জয় বীরুর কথা। দুর্ধর্ষ মারপিট, অস্ত্রের ব্যবহার দেখা গিয়েছে এখানে। সঙ্গে আছে ব্রোম্যানস। সলমন শাহরুখকে বলে ওঠেন, 'হাওয়া মে উড়তে হুয়ে তেরে বাল আচ্ছে লাগতে হ্যায়।'
অন্যদিকে খলনায়কের চরিত্রে যথাযথ ইমরান হাশমি।ಌ বহুদিন পর সেই পুরোনো ইমরান হাশম♌িকে দেখা যাবে এই ছবিতে। কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবে ধরা দিয়েছেন তিনি।
ছবির অন্যান্য বিষয়
ছবির গল্প থেকে গান সবটাই বেশ যথাযথ। এতটুকু কোথাও ঝিমিয়ে পড়েনি। হয়তো গল্পটা একটু ফাস্ট বলা যেতে পারত, গতি ছবিটার বেশ অ🌜নেকটাই স্লো। কিন্তু ঝিমিয়ে পড়েনি কোথাও ছবি। টানটান উত্তেজনা বজায় ছিল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। এমনকি একাধিক নেইল বাইটিং মোমেন্টও ছিল। পাঠান টাইগার দৃশ্য, জোয়ার দুই হাতে বন্দুক নিয়ে লড়াই, টাইগার ওরফে সলমনের ঘোড়ায় চড়ে ইমরানকে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া সবটা থেকে একটা হার্টবিট স্কিপ করেই যাবেন। বেড়ে 🅰যাবে হার্টবিট।
‘টাইগার ৩’ -🌞এর বিষয়ে যেটা আরেকটা না বললেই নয়, সেটা হল ব্যাকগ্রাউন্ড। কিছু পিকচার্সকিউ জায়গাকে তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে। সিনেমাটোগ্রাফি অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।
ছবির প্রায় শেষ দিকে পꦿরিচালক হলের প্রতিটি দর্শককে উঠে দাঁড়াতে বাধ্য করেছেন তাঁর ছবি বলার কায়দায়। পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত বাজিয়ে ছেড়েছেন ছবিতে। এই দৃশ্যে গায়ে কাঁটা দিয়ে বাধ্য।
কবীরের ক্যামিও আছে কি?
টাইগার ৩ নিয়ে অন্যতম চর্চিত বিষয় ছিল হৃতিকের ক্যামিও আছে কিনা? এই উ🐠ত্তরটা ছবি দেখেই নাহয় খুঁজে নেবেন। তবে এটুকু টিপস দেব শেষ পর্যন্ত যতক্ষণ না হলে আলো জ্বলছে ততক্ষণ হল ছাড়বেন না, তাহলে বড় মিস হবে!
ওভারঅল কেমন লাগল?
মণীশ শর্মা পরিচালিত এই ছবি ভারত-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের দিন মুক্তি পেয়েও ছক্ক♏া হাঁকিয়েছে। দীপাবলির সময় গোটা পরিবারকে নিয়ে দেখে আসুন এই ছবি। ভরপ๊ুর এন্টারটেইন হবেন এটুকু নিশ্চিত। সঙ্গে পাবেন আরও একটা ইঙ্গিত! ফলে ওভারঅল বলতে গেলে সলমন ক্যাটরিনার জুটি আবারও হিট আছে। ভালো লেগেছে টাইগারের কামব্যাক।