সোশ্যাল মিডিয়া বড় আজব জায়গা। অনেকেই নির্দ্বিধায়, নিঃসংকোচে এমন অনেক কথা ꦇবলে দেন, যা কতটা রুচিসম্মত ত🐭া নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবিত হন না তাঁরা। সে সব কথার অনেকগুলি এমনই হয়, যা অনেকেই মুখে আনতে পারেন না। অন্য নানা মন্তব্যের সঙ্গে তেমনই কিছু কথার উত্তর দিতে বসলেন টলিউডের তিন অভিনেত্রী। দিতিপ্রিয়া রায়, সন্দীপ্তা সেন এবং চান্দ্রেয়ী ঘোষ।
হালে এই তিন অভিনেত্রীর ‘বোধন’ নামক ছবি মুক্তি পেয়েছে এক ওটিটি মাধ্যমে। সেই ওটিটি মাধ্যমের তরফেই আয়োজন করা হয়েছিল ‘এসব কী ফ্যান কমেন্টস’ নামক একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব। তিন অভিনেত্রীর দিকে ধেয়ে আসা নানা মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন তাঁরা। তার মধ্যে সবগুলিই যে অশ্লীল তাও নয়। কিন্তু শালীনতা এবং অশালীনের সূক্ষ বিভেদ রেখাটা কীভাবে তাঁরাও টের পান, তা স্পষ্ট করেছেন এই অভিনেত্রী। তাঁরা পরিষ্কার বলেছেন, কোন প্রশ্নটি ‘ওকে’, কোনটি ‘ওকে নয়’ এ𒉰বং কোনটি আংশিকভাবে করা যেতে পারে।
তবে সবচেয়ে মারাত্মক হয়েছে, সন্দীপ্তাকে করা একটি প্রশ্ন। কিন✱্তু তার আগে বুঝতে বে অন্য একটি ঘটনা।
বছর খানেক আগে এক কৌতুক শিল্পীর একটি লাইন খুব জনপ্রিয় হয়ে যায়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘ওয়সে ম্যায় বড়া শক্ত হুঁ, পর ইহাঁ ম্যায় পিঘল গ্যায়া’। বাংলায় ভাবানুবাদ করলে অনেকটা এমন ‘আসলে আমি খুব শক্ত মনের মানুষ। কিন্তু এখানে আমি গলে গেলাম।’ কৌতুকশিল্পীর এই লাইন খুব জনপ্রিয় হয় এই সময়ে। এখনও অনেকে নানা জায়গায় এটিকে নানাভাবে ব্যবহার করেন। কিন্তু সেটি যে কখনও কখনও শালীনতার সীমা পেরিয়ে যায়, তা হয়তো টের পান নܫা তাঁরা।
প্রশ্নোত্তর পর্বে আগের লাইনটির প্রসঙ্গ ধরেই একটি মন্তব্য ছুটে এসেছে সন্দীপ্তার দি▨কে। তাঁকে উদ্দেশ্য করে কেউ এক জন লিখেছেন, ‘অউর ইয়াহঁ শক্ত লন্ডে পিঘল যাতে হ্যাঁয়’। এই মন্তব্যটি যে তিনি মোটেই ভালোভাবে নেননি তা বুঝিয়ে দিয়েছেন সন্দীপা। রীতিমতো চোয়াল শক্ত করে তিনি জবাব দিয়েছেন, ‘শক্তই বা হও♛ কেন, পিঘলেই বা যাও কেন! নট ওকে’।
এই ধরনের মন্তব্য কোনও মহিলার উদ💙্দেশ্যে ছুঁড়ে দেওয়া মানেই যে, তাঁকে এক হিসাবে অপমান করা, তা ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন সন্দীপ্তা। এমন কথা অনেকেই বলেছেন ভিডিয়োর ন꧋ীচে। অনেকেই বলেছেন, সেলিব্রিটিরাও সাধারণ মানুষ। তাঁদের যা ইচ্ছা, তা বলা যায় না।