গোটা দুনিয়াতেই মেয়েদের নিয়ে লোকজনের অনেক সমস্যা, অনেক মাথাব🌺্যথা। কোন মেয়ে কেন সঠিক সময়ে বিয়ে করছেন না! কোন মহিবা রাত করে বাড়ি ফিরছেন? সবনিয়েই লোকজনের চিন্তার শেষ নেই। যদিও পুরুষদের সমাজে সেভাবে এসবকিছুরই মুখোমুখি হতে হয় না। কিন্তু মহিলাদেরও লোকের কথা না শুনে নিজের মনের কথা শোনা উচিত, এগিয়ে চলা উচিত। সম্প্রতি এবিষয়টিই একটি ঠাণ্ডা পানীয়র বিজ্ঞাপনে উঠে এসেছে যে বিজ্ঞাপনের অন্যতম মুখ অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু।
সামান্থা অভিনীত সেই বিজ্ঞপনই নিজের টুইটারের পাতায় শেয়ার করেছেন টেনিস খেলোয়াড় সানিয়া মির্জা। টেনিস খেলা নিয়ে তাঁকে কতকিছুর মুখোমুখি হতে হয়েছে সেই অভিজ্ঞতাই সমাজ মাধ্যমের পাতায় তুলে ধরেছেন তিনি। সানিয়া লিখেছেন, ‘এই বিজ্ঞাপনটি দেখে অনেক স্মৃতি ফিরে আসে। লোকজন কীভাবে আমার টেনিস খেলা নিয়ে একসময় মন্তব্য করেছিল। একজন মেয়ে টেনিস খেলে কী অর্জন করবে? টেনিস মহিলাদের খেলা নয়। একটা মেয়ে এটা নিয়ে কতদূর এগোতে পারে? এমন নানান প্রশ্ন উঠেছিল তবে আমি আমার স্বপ্ন অনুসরণ করেছ🍃ি, কখনও হাল ছাড়িনি। কারণ, আমি নিজেকে বিশ্বাস করি এবং সমাজ আমার সম্পর্কে যা বলেছিল তা মানিনি। আমি লোকজনের সংশয় ভেঙেছি, নোংরা মন্তব্যের ঊর্ধ্বে উঠেছি। দৃঢ় সংকল্প এবং ইচ্ছাশক্তি নিয়ে সাফল্য অর্জন করতে হয়...’।
আরও পড়♏ুন-দিল্লির গুরুগ্🃏রামে নতুন বাড়ি কিনলেন 'দঙ্গল' অভিনেত্রী সানায়া মালহোত্রা
সানিয়া আরও লিখেছেন, 'আমার জন্য, 'রাইজ আপ বেবি' এই কথাটা সংকল্পের মতো ছিল।' সামান্থা ও ঠ🌸াণ্ডাপানীয়র সংস্থাকে ট্যাগ করে সানিয়া আরও লেখেন, ‘এই নতুন বিজ্ঞাপনটি আজকের যুবতী, মহ𓆏িলাদের জন্য তাদের স্বপ্ন পুরণের জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
প্রসঙ্গত ২০০৩ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে নিজের টেনিস কেরিয়ার শুরু করেন সানিয়া মির্জা। যদিও পরবর্তী সময় শুধু সানিয়ার টেনিস কেরিয়ার নয়, ব্যক্তিগত জীবনও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। পাক ক্রিকেটার শোয়েব মালিককে বিয়ে, মা হওয়া সহ নানান বিষয়, নানান ঘটনায় প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন সানিয়া। এক সাক্ষাৎকারে সানিয়াকে মা হওয়া ও সংসারে স্থিত হওয়ার কথাও জিজ্ঞাসা করা হয়। এমন প꧒্রশ্ন কিছুটা বিরক্ত সানিয়া উত্তর দিয়েছেন, ‘আপনি হয়ত শুনে হতাশ হবেন, যে আমি বিশ্বের ১ নম্বর খেলোয়াড় হওয়া আর মাতৃত্বের মধ্যে কোনও একটাকে বেছে নিচ্ছি না। যদিও একজন মহিলা হিসাবে আমায় বারবারই এধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। আমরা যতই উইম্বলডন জিতি বা বিশ্বের নাম্বার ওয়ান হই, তারপরেও এমনটা শুনতে হয়।’
(