প্রত্যেকবারের মতো এবারও শুরু থেকে চর্চায় রয়েছে জি বাংলা ‘সারেগামাপা’। বরবর🃏ই দর্শকদরবারে এই রিয়েলিটি শোয়ের আলাদা জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই মুহূর্তে গ্র্যান্ড অডিশনের পর চলছে লেবেল-২। এই পর্বেও নজর কাড়ছেন প্রতিযোগীরা। কোন প্রতিযোগী, কোন বিচারকের টিমে যাবে, চলছে সেটা বেছে নেওয়ার পালা। এরই মাঝে মেদিনীরপুরের কোলাঘাটের বাসিন্দা ছোট্ট অনীক জানা কার টিমে যাবে, তা নিয়ে বিচারকদের মধ্যে চলল দড়ি টানাটানি।
এদিন অনীককে মঞ্চে দেখেই সারেগামাপার বিচারক, গায়িকা কৌশিকী চক্রবর্তীকে তার সঙ্গে মজা করতে দেখা গেল। অনীকের বয়সের নিয়মে দাঁত পড়ে যাওয়ার নিয়ে মজা করলেন কৌশিকী। বাচ্চাদের মতো গলায় কৌশিকীই প্রথম বলে ওঠেন, 'অনীক কী করছিস? তোর দাঁতཧ একটু কম আছে, আর আমার বেশি আছে। তুই যদি এখানে আসিস, তোকে দেব এক্সট্রা। পাশ থেকে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত ফুট কেটে বলেন, ‘৩৬ বছর এগিয়ে থাকা একটা বুড়ির দাঁত…! (হাসতে হাসতে) এই দাঁত নিয়ে কী করবি তুই?’ কৌশিকী হাল ছাড়েননি। ফের তিনি বলেন, ‘তাই নাহয় দেব বল!’ এরপর রাঘব বললেন, ‘এই দেখ, দাঁত নিবি নাকি মিষ্টি নিবি?’ কৌশিকি ফের বলেন, ‘একটা ভালো জিনিস দেব, এই যে রাঘবদা তোকে মিষ্টি দিচ্ছে, আমি তোকে দাঁত দিলাম নাহয়।’
তবে কৌশিকী এবার অনীককে সতর্ক করলেন, ‘মিষ্টি খাস না কিন্তু! মিষ্টি খেলে আরও দাঁত পড়ে যাবে।’ এরপর মাঝে ঢুকে সঞ্চালক আবির ক্ষুদে প্রতিযোগীকে প্রশ্ন করেন, ‘তোর দাঁত লাগবে কি?’ লাজুক গলায় সে তখন বলল, ‘না…আমি কিছুই নেব না।’ কৌশিকীও তাঁকে নকল করে তখন বলেন, ‘কিছুই নেব না, আমাকে যাই দাও আমি কিছুই নেব না।’ এরপর কৌশিকী সাফ জানালেন, ‘তোর যা ইচ্ছে করবি, তোকে সব টিম বলবে, এখানে আয়, এখানে আয়, তোর যেখানে ইচ্ছে তুই সেখানে যাবি।’ আবির তখন বলেন, ‘তোর যে টিমে যেতে ইচ্ছে করবে, গটগট করে হেঁটে তুই চলে যাবি, এটা তোর ব্য়াপার, আমরা তোকে কিচ্ছু বলব না।’ এর꧋পর আবির 1,2,3 স্টার্ট বললে অনীক হাঁটতে শুরু করল? কিন্তু কোন টিমে যাবে সে? এবিষয়টি জানতে হলে অবশ্য সারেগামাপা-র এই পর্বটি সম্প্রচারিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।