সপ্তাহখানেক আগেই প্রেগন্যান্সির খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন দুর্নিবার সাহার দ্বিতীয় স্ত্রী ঐন্দ্রিলা সেন ওরফে মোহর। চলতি ꦜবছরেই দুজনে বসেছিলেন বিয়ের পিঁড়িতে। আর মাস আটেকের মধ্যেই আসে সুখবর। মোহরের প্রেগন্যান্সির খবর আগেই মিলেছিল, প্রসেনজিতের বার্থ ডে পার্টিতে। বুম্বাদা বারবার নিজের জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা ‘কন্যা-সম’ মেয়েটিকে বলছিলেন সাবধানে চলাফেরা করতে। বৃষ্টিভেজা ছাদে যেন পা পিছলে না যায়। বিষয়টা সেইসময় নজরে এড়ায়নি অনেকেরই।
অক্টোবর মাসেই মোহর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে নেন একটি কার্ড। যাতে লেখা, ‘আমরা খুব উত্তেজিত জানাতে পেরে, আসছে ছোট্ট চমৎকার।’ সঙ্গে জুড়ে দেন, ‘এভাবে ঘুমিয়ে-ঘুমিয়ে আমরা ক্লান্ত। এমন একটা কাজ করছি যা আমরা অনেকদিন ধরেই চেয়ে এসেছি।’ মোহরের এই পোস্টে শুভেচ্ছার বন্যা। হবু মা-বাবাকে ভ💟ালোবাসা জানান নেট-নাগরিকরা।
আরও পড়ুন: শিকারে 🐼গিয়ে চোখে চোট, অবসর নেন কোন ক্রিকেটার? KBC-তে পারল না বাঙালি, আপনি জানেন?
২০২৩ সালের ৯ মার্চ সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন দুর্নিবার আর মোহর। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়েটা দিয়েছিলেন প্রসেনজিৎಞ চট্টোপাধ্যায়। বরকর্তা হিসেবে পালন করেছিলেন সব দায়িত্ব। মেয়ের পিঁড়ি ধরেন, শাঁখ বাজান। ছিলেন প্রসেনজিতের ছেলে তৃষাণজিৎ ওরফে মিশুকও। বাবা-ছেলে মিলে বিয়েবাড়িতে আসা সব অতিথিদের আপ্যায়ন করেন।
আরও পড়ুন: জিতুর সঙ্গে ডিভোর্স, পুজোর শেষ লগ্ন𒁏ে তাও ‘প্রাক্তন’-এর স্কুটা💎রে ঘুরলেন নবনীতা!
যদিও দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কম কটাক্ষ আসেনি দুর্নিবার ও মোহরের বিবাহিত জীবনে। ২০১৭ সালে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আইনি বিয়ে হয়েছিল দুর্নিবার। একসঙ্গে থাকছিলেনও তাঁরা। এরপর ২০২১ সালে বেশ ঘটা করে সামাজিক বিয়েটাও হয়ে যায়। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানিক বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ২০২২ এর মাঝামাঝি সময়ে এসে ভেঙে যায়। এরপর ২০২৩ সালে নতুন করে জীবন শুরু করেন দুর্নিবার। নেটপাড়ার কট🅠াক্ষে বিয়ের থেকে হানিমুন, ছবি শেয়ার করতেও দ্বিধায় ছিলেন নব দম্পতি। কেউই চাননি, তাঁদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার এই কটাক্ষের পরিমাণ আরও বাড়ুক।
আরও পড়ুন: কাঠের তক্তার সিঁড়ি বেয়ে🍎 দুর্গা মাকে বরণ অন্তঃসত্ত্বা শুভশ্রীর, সামল🤪ে রাখলেন রাজ
সোনার গ﷽য়না। চুলে খোঁপা বেঁধে লাগিয়ে নিয়েছেন ফুল। লাল-সাদা নয়, বরং স💛োনালি আর লালের কম্বিনেশনে শাড়ি পরেছিলেন মোহর। সিঁথি ভরা সিঁদুর। গালের সিঁদুর আরও মিষ্টি করেছে মুখখানা। আর দুর্নিবার পরেছিলেন কমলা রঙের পঞ্জাবি। বৃষ্টিভেজা দশমীতে ছাতা মাথায় দিয়েই মণ্ডপে পৌঁছন তাঁরা। মা হতে চলা মোহর খুব সাবধানেই করলেন ঠাকুর বরণ। পান পাতা দিয়ে মুছিয়ে দিলেন দুর্গা মায়ের গালখানি। কপালে দিলেন সিঁদুর।