মাসখানেক ধরেই নবনীতা দাস আর জিতু কমলের বিচ্ছেদ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। পুজোয় দু তরফেই সেভাবে কোনও উদযাপনের ছবি দেননি সামাজিক মাধ্যমে। এতদꦯিন পুজোটা কাটাতেন একসঙ্গে, আর এবারে একে-অপরের থেকে আলাদা হয়ে। তবে দশমীর রাতে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে নিলেন অভিনেতꦆ্রী সামাজিক মাধ্যমে। যেখানে দেখা গেল বসে আছেন তিনি বর জিতুর স্কুটারের পিছনে। আলো ঝলমলে কলকাতার রাস্তায় ঘুরছেন। খুব সম্ভবত মাঝ রাত, তাই চারদিক একটু শুনশান। তবে পুজোর আমেজ চারদিকে। সেলফি ক্যামেরায় নিজেদের বন্দি করছেন নবনীতাা।
ভিডিয়ো দেখে অনেকেই ধরে নেন বুঝি বা সব সমস্যা মিট��িয়ে নিয়েছেন জিতু-নবনীতা। কাছাকাছি এসেছেন এক🌜ে-অপরের। তবে ক্যাপশন বলছে অন্য কথা। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘গত বছর’।
ভিডিয়ো দেখে মন খারাপ হয়ে যায় অনেকেরই। এভাবে ‘প্রাক্তন’-এর সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত শেয়ার যে বিষাদেরই লক্ষণ, তা বুঝতে সময় লাগে না কারও। একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘শুভ বিজয়াতে এই কামনা রইল যে, এই ছবি ඣটা প্রতি বছর ♒আসুক, শুধু গত বছর নয়। ভালো থেকো। একসঙ্গে থেকো তোমরা।’ অপরজন লিখলেন, ‘তোমরা দুজন চেষ্টা করলেই আবার সব ঠিক হয়ে যাবে আগের মতনই।’ তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘আর এই বছর কী হয়ে গেল’!
পুজোটা নিশ্চুপেই কেটেছে নবনীতার। পুজোর সপ্তাহখানেক আগে জিতু আর শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে ছবি দিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘এবার পুজোটা তোমাদের সঙ্গে কাটানো হবে না।’ অভিনেত্রী নিজের মুখেই জানান, দু-একটা পুজো পরিক্রমার কাজ ছাড়া কোথাও যাননি পুজোয়। না বরণ করেছেন মা দুর্গাকে। জিতুর ঘর ছাড়ার পর জীবনটা আপাদমস্তক পালটে ফেলেছেন। পুরনো কিছুই ব্যবহার করেন না আর, এমনকী ফোনটাও নয়। তবে স্পষ্ট পুরনো স্মৃতিগুꦦলিকে ছাড়তে পারেননি। বরং সেগুলোকে সঙ্গী করেই বর্তমানে কাটাচ্ছেন দিন।
জুন মাসের এক দুপুরে হঠাৎই নবনীতা ফেসবুকে লিখলেন, ‘আমরা দুজন দুজনের সাথে ভালো নেই.....প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এইসব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায় এর ইতিটা নয় এইভাবেই হোক.ꦇ.. ভালো থেকো জিতু কমল।’ চমকে যায় নেটিজেনরা। কদিন আগেই ছিল তাঁদের বিবাহবার্ষিকী। দুজনে ছিলেন সেই সময় দেশের বাইরে। তারপর অভিনেত্রী নিজেই জানান, মাসকয়েক আগেই তাঁরা ডিভোর্স ফাইল করে দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে আলাদাই থাকছেন। শুধু আগে থেকে টিকিট কাটা থাকায় গিয়েছিলেন লন্ডনে, তবে সেখানেও তিনি আর🍌 জিতু আলাদা আলাদাই থেকেছেন, ঘুরেছেন।