পরীমনি আগেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন শরীফুল রাজের সঙ্গে। বিচ্ছেদের নোটিশও ধরিয়েছেন। দু-দিন আগেই খবর রটে আর্থিক দুরাবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন শরীফুল রাজ, তার মাঝেই সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে ধুন্ধুমার কাণ্ড। ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশে আয়োজন করা হয়েছে সেলিব্রিট💮ি ক্রিকেট লিগের। আর সেখানেই খেলার ফলাফল নিয়ে দু দলের মধ্যে মারামারি বেঁধে যায়।
অভিনেত্রী রাজ রিপার অভিযোগ মদ্যপ অবস্থাতেই মাঠে নেমে ছিলেন শরীফুল রাজ। তিনি কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলেন,'শরীফুল রাজ মদ্যপ ছিল। আমাকে জোরে ঘুষি মেরেছে। আমার কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। মাঠ থেকে বেরোলে আমাকে খুন করবে এমন হুমকি দিয়েছে'। রাজ রিপার এই বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে শোরগোল ওপার বাংলার বিনোদন জগত। খেলার মাঠে মারামারির ভিডিয়োও ভাইরাল সোশ্🉐যাল মিডিয়ায়। রাজের হাত মার খেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে হয় রাজ রিপাকে। শুধু রিপা নয়, এই ঘটনায় জখম হন দুই দলের মোট ছয় তারকা।
সিসিএল-এ প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনের খেলায় মাঠে নেমেছিল মোস্তফা কামাল রাজ ও দীপংকর দীপনের দল। সেই খেলা নিয়েই যত গণ্ডোগোল। সিসিএলে অংশ নেওয়ার কথা ছিল পরীমনিরও। কিন্তু শেষমে🤡শ যোগ দেননি নায়িকা। কেন সিসিএল থেকে গায়েব থাকলেন পরীমনি সেই নিয়ে মুখ না খুললেও শরীফুল রাজ বিতর্কে জড়াতেই বিস্ফোরক পরীমনি। নায়িকা নিজের ফেসবুকের দওেওয়ালে লিখেছেন, ‘এই অ্যাগ্রেসিভ জানোয়ারটার চেহারা দেখতে হবে বলেই যাইনি সিসিএল–এ, আল্লাহ বাঁচাইছে।’ কারুর নাম না নিলেও পরীমনির নিশানায় যে শরীফুল রাজ তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার নয়।
‘এরা কেমনে তারকা হয়’, এক নেটিজেনর এই কটাক্ষের জবাবে পরীমনি লিখেছেন, ‘আপনারা বানান আর আমার মতো গর্দভ এগুলারে মাথায় উঠায়ে দেয়। দোষ তো আমাদেরই।' আরও একজনের প্রশ্নের জবাবে তিনি লেখেন- 'আমি বুঝি না, তোমাদের সামনে মেয়েদের গায়ে হাত কেমনে দেয়! গালিগালাজ কীভাবে করে! ধইরা কানসাপট্টি ফাটඣায়ে 𝓡কেন দিলা না!
চলতি মাসেই শরীফুল রাজকে তালাকের নোটিশ ধরিয়েছেন পরীমনি। নায়িকার স্পষ্ট দাবি, তাঁর সঙ্গে স্বামী যে আচরণ করেছে তাতে রাজের জেলে যাওয়া উচিত। সপ্তাহখানেক আগেই রাজকে ডিভোর্স নোটিশ দেওয়ার খবর জানিয়ে পরಌীমনি লিখেছিলেন- ‘আমি এমন ভয়ংকর একজন মানুষকে বার বার সুযোগ দিয়েছি। সেও সুযোগ পেতো কারন আইনগতভাবে তার সাথে আমার বিবꦯাহ বিচ্ছেদ হয়নি। এসবে বারবার আমি অসম্মানিত হয়েছি আপনাদের কাছেও। আমাকে ক্ষমা করবেন।’
পরীমনি জানান, সব আইন-কানুন মেনেই রাজকে ডিভোর্স ꦅদিয়েছেন তিনি। পাশাপা🥂শি আগামিতে ছেলের যাবতীয় ভরণপোষণের দায়িত্ব মা হিসাবে তিনিই পালন করেন। পরীমনি লেখেন- ‘আমি তাকে অফিসিয়ালি ডিভোর্স দিয়েছি। খুবই স্বাভাবিক ওয়েতে। এটাও তাকে আমার এক প্রকার ক্ষমা করে দেয়া। না হয় আমার সাথে যে অন্যায়গুলো করেছে তাতে তার জেল হওয়ার কথা। আমার ছেলের যাবতীয় খরচ মানে ভরণপোষণ থেকে আগামীতে পড়াশোনা যা কিছু আছে সব আমি একা বহন করবো। এতো দিন যেভাবে করেছি। বাচ্চার ফুল গার্ডিয়ানশিপ এখন তার মা’র। এ বিষয়ে যা কিছু বলার আমার আইনজীবীরা বলবেন।’