মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খানের ডাঙ্কি। রাজকুমার হিরানির পরিচালনায় এই সিনেমা ইতিমধ্যেই ঝড় তুলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। হল ফেরত দর্শকরা একবাক্যে স্বীকার করছেন, কেরিয়ারের সেরা পারফরমেন্স দিয়েছেন কিং খান। ‘চক দে ইন্ডিয়া’র পর ফের একবার ফুল অন অ্য়াক্টিং চোখে পড়ল শাহরুখের।বৃহস্পতিবার মুক্তির আগে শাহরুখ খান টুইটারে মজাদার জবাব দিলেন এক ভক্তকে। এমনিতেই #AskSRK সেশন বরাবরই থাকে হিট। বিশেষ করে কিং খানের হাস্যরস মেশানো জবাব যে কোনও মানুষের মুখেই এনে দেবে হাসি। যদিও কেউ ট্রোল করার চেষ্টা করলে ছেড়ে কথা বলেন না শাহরুখ।বুধবারের আস্ক এসআরকে সেশনে এক নেট-নাগরিক শাহরুখ খানের কাছে প্রশ্ন করেন, ‘ডাঙ্কির প্রথম দিনের কালেকশন আর মিচেল স্টার্কের নিলামের দামের মধ্যে কী পার্থক্য রয়েছে?’জবাবে শাহরুখ লিখলেন, ‘এই দুটোর মথ্যে তুলনাই হয় না। ডাঙ্কি থেকে আমার কাছে যে টাকা আসবে তা মিচেল স্টার্ক আমার থেকে নিয়ে নেবে।’ প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি ফাস্ট বোলার ও বাঁ হাতি ব্যাটার মিচেল স্টার্ককে ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় কিনে নিয়েছে কলকাতা। যা আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দাম এতদিনে। চলতি সিজনেই সর্বাধিক দাম পাওয়ার রেকর্ড ঝুলিতে পুরেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ২০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তবে দিনের শেষে বদলে গিয়েছিল সম্পূর্ণ চিত্রটা।বুধবার এক ভক্ত শাহরুখ খানকে প্রশ্ন করেছিলেন, ২০২৩ সালে তাঁর করা তিনটে চরিত্রর মধ্যে সব নিচেয়ে প্রিয় কোনটা? এই প্রশ্নের জবাব আসে, ‘আমার প্রিয় চরিত্র হল সেটা যেটা দর্শকের পছন্দ হয়েছে। আমি আশা করি সবার হার্ডিকে ততটাই পছন্দ হবে, যতটা অন্য চরিত্রগুলোকে হয়েছে। যে খুব মহৎ আত্মা। একজন আর্মি অফিসার আর লাভার। #DunkiTomorrow’আরেকজন প্রশ্ন করেন, ‘এত বছর পর ক্লাসরুমের বেঞ্চে বসে কীরকম বোধ করছিলেন শাহরুখ?’ যাতে কিং খানের জবাব ছিল, ‘এবারও সব প্রশ্নের ভুল জবাব দিয়েছি। আর ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়ার জন্য শিক্ষকের বকাও খেয়েছি।’ডাঙ্কিতে রয়েছেন অসাধারণ প্রতিভাবান অভিনেতা বোমন ইরানি, তাপসী পান্নু, ভিকি কৌশল, বিক্রম কোচার, অনিল গ্রোভার, শাহরুখ খানদের। এটি জিও স্টুডিও, রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট, এবং রাজকুমার হিরানি ফিল্মস প্রযোজনা করেছে। অভিজাত যোশি, রাজকুমার হিরানি এবং কণিকা ধিলোঁ লেখা ডাঙ্কি চার বন্ধুর একটি হৃদয়গ্রাহী গল্প নিয়ে। পঞ্জাবেপ তরুণ প্রজন্মের একটা সময় কানাডা ও ইংল্যান্ড যাওয়ার যে প্রবণতা ছিল, তাই ফোকাস করা হয়েছে এখানে। অভিবাসন সমস্যাকে উপস্থাপন করেছেন রাজকুমার হিরানি তাঁর প্রেম ও মস্তির মোড়কে।