মিঠুন চক্রবর্তীর নামে গুরুতর ‘অভিযোগ’ শক্তি কাপুরের। পর্দায় ভিলেন হিসেবেই পরিচিত শক্তি। আর হিরো মিঠুন। তা সেই ভ🤡ালোমানুষটাই এরকম খারাপ ব্যবহার করেছিলেন! শক্তি কাপুরের দাবি ঘরে আটকে রেখেছিলেন মিঠুন। কেটে দিয়েছিলেন চুলও।
আসলে পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ায় পড়াশোনা করেন ♚মিঠুন আর শক্তি দুজনেই। ডিডি উর্দুতে সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে পুরনো ঘটনা শেয়ার করে নেন, যা তাদের প্রথম সাক্ষাতের।
শক্তি জানান দিল্লি থেকে পুনে যাওয়ার পথে রবি বর্মণ এবং অনিল বর্মণের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন এবং বিনোদ খান্না, রাকেশ রোশন এবং রাজেশ রোশনের সঙ্গে পাঁচ তারকা হোটেলে একসঙ্গে কিছু খাবারও খান। তাঁকে পুণের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাড়তে গিয়েছিলেন রাকেশ রোশন। হাতে বিয়ারের বোতল নিয়ে যখন প্রবেশ করতে যাবেন তখন দেখেন গেটে ধুতি পরে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক ব্যক্তি। ধুতিতে অসংখ্যা ছিদ্র। সেই ব্যক্তি রাকেশ রোশনকে দেখে এগিয়ে এসে প্রণাম করে। এরপর শক্তি আগ বাড়িয়ে মিঠুনকে প্রশ্ন করে বসেন, ‘তুমি কি একটু বিয়ার খাবে?’ যাতে সাফ না করে দেন মিঠুন। সঙ্✅গে জানিয়ে দেন, ক্যাম্পাসে অনুমতিও নেই। তবে রাকেশ তা🅠ঁকে ছেড়ে চলে যেতেই বদলে যায় মিঠুনের রূপ। তাঁকে কলার ধরে তুলে এনে একটা ঘরের মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলে। রেগে গিয়ে বলে, ‘তোমার এত সাহস সিনিয়রকে বিয়ার অফার করছ?’
শক্তি জানান𝓀, এরপর মিঠুনের সঙ্গে যোগ দেন বিজয়েন্দ্📖র ঘাটগে। গোটা ঘর অন্ধকার। শুধু আলো পড়ছে শক্তি কাপুরের মুখে। এরপর দুজনে মিলে শক্তির হেয়ারস্টাইল নিয়ে মস্করা করেন। কাঁচি এনে কেটে দেন সাধের চুল। ততক্ষণে শক্তি বুঝে গিয়েছেন, কী ভুল তিনি করেছেন বিয়ার অফার করে!
এখানেই শেষ হয়ন﷽ি র্যাগ🅠িং। ঠান্ডার রাতে ২০ মিনিট টানা সাঁতার কাটানো হয়েছিল। সিনিয়রদের পায়ে ধরে দিল্লিও ফেরত আসতে চেয়েছিলেন শক্তি কাপুর সেই সময়। তবে সেই সময় বাঁচিয়েছিলেনও মিঠুনও। আলাদা ডেকে সাবধান করে দেন যাতে এই ভুল আর তিনি না করেন। একটা ঘরে বন্ধও করে রাখেন, যাতে বাদবাকি সিনিয়ররা ভাবে হোস্টেল ছেড়ে চলে গিয়েছেন শক্তি। নাহলে সেই রাতটা কপালে ছিল আরও কষ্ট!
তবে পরবর্তীতে গুন্ডা, গুরু, ক্রান্তি ক্ষেত্র, বাদল, পেয়ার কা কার্জ এবং দালাল সহ বেশ কয়েকটি ছবি💦তে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন মিঠুন আর শক্তি। কলেজ লাইফের স🐎েই দুষ্টুমি মনে পুষে রাখেননি কেউই।