মির্জা গালিবের বিখ্যাত সব প্রেমের কবিতা ' টুকে ' নিজের নামে শর্মিলা ঠাকুরকে পাঠাতেন মনসুর আলি খান পতৌদি। সম্প্রতি, দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই মজাদার সব তথ্য জানালেনবর্ষীয়ান বলিউড অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। সেইসম🐬য় জমিয়ে প্রেমপর্ব চলছে শর্মিলা এবং তৎকালীন ভারতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন মনসুর আলি খানপতৌদির। শর্মিলা তখন বলিউডের প্রথম সারির অন্যতম নায়িকা। তাই অভিনেত্রীকে মুগ্ধ করার জন্য মির্জা গালিবের লেখা দারুণ সব শায়েরি ও কবিতা টুকে সেসব নিজের নাম দিয়ে চালাতেন ' টাইগার ' পতৌদি। শর্মিলাও টাইগারের কবি মনের পরিচয় পেয়ে যারপরনাই আনন্দ পেতেন।
একবার এরকমই গালিবের 'দিল-এ-নাদান তুঝে হুয়া ক্যায়া হ্যায়' কবিতা লিখে পতৌদি শর্মিলাকে আবেগ ভরে বলেছিলেন তিনিশর্মিলার জন্য ওই কবিতা লিখেছেন। সেই সময়ে ক্রিকেট খেলার পা𒀰শাপাশি গানও গাইতেন 'টাইগার' .সঙ্গে বাজাতেন বাঁশিও। আবার বেগম বেগম আখতার,তালা তমেহমুদ-এর গানের অসম্ভ বভক্ত ছিলেন তিনি।এসবকিছুই জানতেন শর্মিলা।তাই সরল মনে তিনি বিশ্বাস করে নিয়েছিলেন তাঁর প্রেমিকের কথা। পরের দিন 'সফর' এর শ্যুটিং সেটে টাইগারের এই কবিতার কথা তিনি শেয়ার করেন ছবির সহ-অভিনেতা ফিরোজ খানের সঙ্গে। এখানেই না থেমে আনন্দের আতিশয্যে ফিরোজকে ওই কবিতাও দেখান তিনি। এরপরেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ে বিড়াল। কবিতাপ্রেমী ফিরোজের একমুহূর্ত লাগেনি গালিবের কবিতা চিনতে। মজা করে সেকথা জানিয়েও দেন তিনি। প্রসঙ্গত,১৯৬৫ সালে টাইগার ও শর্মিলার আলাপ হয় একটি পার্টিতে। এরপর তাঁদের প্রেমপর্ব গড়ায় বিয়ের মন্ডপ পর্যন্ত। ১৯৬৮ সালে বিয়ে করেন এই জুটি।