নবাব পরিবারে বিয়ে করেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। ভারতীয় ক্রিকেট জগতের কিংবদন্তী তারকা মনসুর আলি খানের সঙ্গে এক হয়েছিল চার হাত। ১৯৬৫ সালে দিল্লিতে🐎 এক ক্রিকেট ম্যাচಌ দেখতে গিয়েছিলেন শর্মিলা। আফটার পার্টিতে মনসুরের সঙ্গে তাঁর আলাপ করিয়ে দেন এক বন্ধু। শর্মিলা বিশেষ ক্রিকেট দেখতেন না। মনসুরও খুব বেশু দেখেননি শর্মিলার সিনেমা। যদিও তাতে প্রেমে বাধা আসেনি। প্রথম আলাপেই তাঁদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল কেমিস্ট্রি।
মনসুরের ব্রিটিশ অ্যাকসেন্ট শুনে প্রেমে পড়ে যান শর্মিলা। রসবোধও বেশ খাসা ছিল নবাব সাহেবের। শর্মিলার জন্য কবিতাও লিখতেন মাঝেমাঝে। ১৯৬৮ সালে এক রাজকীয় ༺অনুষ্ঠানে মনসুর আলি খান পতৌদিকে বিয়ে করেন শর্মিলা ঠাকুর। সেই সময় দাঁড়িয়ে এই বিয়ে ক বিতর্কের জন্ম দেয়নি, যদিও তাতে কখনও সেভাবে কান দেননি শর্মিলা বা মনসুর। তাঁদের ৩ সন্তান, সইফ আলি খান, সাবা আলি খান ও সোহা আলি খান।
আরও পড়ুন: ‘লিভ ইন কဣরা…’, সৌরভের নামে ‘মাতাল-গাঁজাখোর’ অপবাদ, বিয়ের সিদ্ধান্তে জবাব দর্শনার
এক সাক্ষাৎকারে শর্মিলাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘একটা সময় আমাকে পরামর্শ দেওয়া হয়, আমি যদি বিয়ের পরেও সিনেমায় অভিনয় করি, তাহলে আমার বিয়েটা এক বছরও টিকবে না। আমার বিয়ে সেইসময় মিডিয়া ও জনসাধারণকে অনেক ধরনের কল্পনা করার সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু আমার কখনও বিয়ে বা সন্তান কেরিয়ারে বাধ🅷া হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে হয়নি।’
আরও পড়ুন: পিয়ার সঙ্গে জমে হানিমুনে, সিনেমায় ফের একসঙ্গে ꦍস্বস্তিকা-পর෴মব্রত, পরিচালনায় সৃজিত
শর্মিলা মাত্র ১৪ বছর বয়সে অভিনয় শুরু করেন সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে। ১৯৫৯ সালে কাজ করেছিলেন অপুর সংসারে। সত্যজিতের দেবী, নায়ক, অরন্যের দিন রাত্রি ছবিতেও দেখা মেলে তাঁর। এছাড়াও শর্মিলার হিট সিনেমার তালিকায় রয়েছে কাশ্মীর কি কালি, ওয়াক্ত, অনু♍পমা, আ ইভিনিং ইন প্যারিস, সত্যকাম এ𝄹বং আরাধনার মতো একাধিক সিনেমা। অমর প্রেম, চুপকে চুপকে, নমকিন, মৌসম, মন, একলব্য: দ্য রয়্যাল গার্ড এবং ব্রেক কে বাদ-এও কাজ করেছেন তিনি।
তারপর বেশ লম্বা একটা বিরতি নিয়♌েছিলেন অভিনয় থেকে। ২০২৩ সালে ১৩ বছর পর গুলমোহর দিয়ে সিনেমায় ফিরলেন। ছবিটি ডিজনি+ হটস্টারে মার্চ মাসে মুক👍্তি পায়।