‘ট্রেনে দেখলাম সুন্দরী একটা মেয়ে কাঁদছে। ওকে হয়ত মা বকেছিল। ভাবলাম পাটনা এত সুন্দর একটা মেয়ে। অন্যদিকে বসে আমিও তখন কাঁদছিলাম। কারণ আমিও তখন বাড়ি ছেড়ে, মাকে ছেড়ে আসছি।’ স্ত্রী পুনমের সঙ্গে প্রথম সাꩲক্ষাৎ নিয়ে কথাগুলি বলে চলেছিলেন অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। আরবাজ খানের শোয়ে এসে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, তখনও জানতাম না কী ঘটতে চলেছে। মনে হল ঈশ্বরই আমাদেরকে কাছাকাছি পাঠিয়েছেন। আমি অভিনয় করব, অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করব, নাকি স্ট্রাগল করব, তারপর একদিন তারকা হব এটা তখনও জানা ছিল না। পাটনা থেকে পুনে আসার পথে প্রথমবার পুনমের সঙ্গে দেখা হয়েছিল শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি তখন পুনেতে ভারতীয় সিনেমা ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন।
দেখা হওয়ার প্রায় ১৪ বছর পর বিয়ে হয় শত্রুঘ্ন সিনহা ও পুনমের। অভিনেতা যখন পাটনা থেকে পুনে আসেন, তখন তাঁর বাবা FTII পড়তে অনুমতি দেনি, বাড়ি ছেড়ে আসছিলাম, মা অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন, তাই কিছুটা আবেগতাড়িত হয়েই সেদিন ট্রেনে কেঁদেছিলেন বলে আরবাজকে জানান শত্রুঘ্ন সিনহা।
আরবাজ খান শত্রুঘ্ন সিনহাকে মনে করিয়ে দেন তিনি বিয়ের আগে মাঝে প্রায় ৩ বছর পুনমের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। কথাটা স্বীকার করে নিয়ে অভিনেতা বলেন, ' হ্যাঁ, আমরা কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ওটা আমার সিদ্ধান্ত ছিল। আমি তখন স্টারডমের শিকার। নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলাম। তখন আমার জীবনে অন্য কিছু ঘটছিল। দোষটা আমার-ই ছিল। আমি একটি পালিয়ে যেতে চ𓆉েয়েছিলাম। আমি পুনমকে বললাম, ‘তুমি আমার জন্য খুব ভালো, এবং আমি তোমার সঙ্গে থাকতে পারব না। একপ্রকার তালাক-ই দিয়ে দি,🦹 সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলাম। তবে ও আমাপ নিয়মিত খবরাখবর নিত, আমার কর্মীদের আমার যত্ন নিতে বলত, ঠিক করে খাবার দিতে বলত।’
প্🧸রসঙ্গত ১৯৮০ সালে বিয়ে হয় শত্রঘ্ন সিনহা ও পুনম💝ের তাঁদের দুই ছেলে লব ও কুশ এবং এক মেয়ে সোনাক্ষী সিনহা রয়েছেন।