বহুদিন পর আবারও পর্দায় ফিরতে চলেছেন শেখর সুমন। তাঁকে আগামীতে দেখা যাবে সঞ্জয় লীলা বানসালির হীরামান্ডি সিরিজে। এর আগে তাঁকে একাধিক ধারাবাহিক, সিনেমা, শোতে দেখা গিয়েছে। তাঁর সঞ্চালিত সিম্পলি শেখর তো দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এবার তিনি নতুন রূপে আসছেন। তবে কেবল অভিনয় নয়, অভিনেতা হামেশাই সব বিষয়ে নিজের সুস্পষ্ট ম🐻তামত জানিয়েছেন। এবার সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি তবে বড় ছেলের মৃত্যুর প্রসঙ্গে কথা বললেন। আর সেই কথা মনে করতে গিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়লেন অভিনেতা।
বড় ছেলের মৃত্যু নিয়ে কী বললেন শেখর?
শেখর সুমনের বড় ছেলে আয়ুষ মাত্র ১১ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে চলে যায়। তার একটি কঠিন রোগ হয়েছিল যার কোনও চিকিৎসা হয় না। কী হয়েছিল আয়ুষের? অভিনেতা জানান তাঁর বড় সন্তানের এন্ডমায়োকার্ডিয়াল ফাইব্রোসিস বা ইএমএফ রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। এই রোগে মূলত হার্ট বিকল হয়ে যায় বলেই ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর রেয়ার ডিসঅর্ডার্স। এই রꩵোগের কথা বলতে গিয়েই অভিনেতা যেমন সচেতনতা ছড়ান রোগটি নিয়ে তেমনই ছেলের মৃত্যুর কথা ভেবে কেঁদে ফেলেন।
আরও পড়ুন: নেপো কিডের তকমা আছেই, প্রথম ইনস্টা পোস্🌊টে কি সেই নিয়েই বার্তা সইফ পুত্রের?
এবিপিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, 'ইএমএফ এমন🔜 একটা রোগ যা লাখে একজনের হয়। ভারতে হয়তো সর্বসাকুল্যে ৩-৪ জনের এই রোগ হয়েছে। আর এই রোগের কোনও চিকিৎসা হয় না এক হার🔜্ট ট্রান্সপ্লান্ট ছাড়া।'
ছেলের মৃত্যু প্রসঙ্গ উঠতেই কেঁদে ফেলেন শেখর
শেখর সুমন জানান 'ওকে নিয়ে যখন আমরা সেই রাতে হাসপাতালে ছুটে যাই তখন চিকিৎসক জানিয়ে দেন ও আর নেই। আমি ওর দেহ আঁকড়ে গোটা রাত শুয়ে ছিলাম। খুব কেঁদেছি। অলকাও খুব কেঁদেছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সবটা কিছুটা স্বাভাবিক হয়। আমরা সমস্ত যন্ত্রণা, কষ্ট বুকে সামল🌞ে ছেলেকে বিদায় জানাই চিরকালের জন্য, চিতার আগুনে দিয়ে দিই। আশা কর🍬ব সময় হয়তো সব কষ্ট কমিয়ে দেবে... কিন্তু আদতে আমাদের এই কষ্টটা দিন দিন বেড়েই চলেছে।'
আরও পড়ুন: থ্রি ইডিয়টস করতে বেজায় ভয় 𒉰পেয়েছিলেন আমির! কিন꧑্তু কেন?
শেখর এদিনের এই সাক্ষাৎকারে জানান তিনি ছেলেকে বাঁচানোর জন্য প্রচুর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কিছুই 🌌করা যায়নি। তবে ঈশ্বরের আশীর্বাদে ৮ মাসের বদল⛄ে ওই রোগ নিয়েও আয়ুষ ৪ বছর বেঁচে ছিল।