স্মৃতি সততই মধুর। আর বিশেষ করে ছোটবেলার ফেলা আসা স্মৃতির গলিতে ফিরে গিয়ে পুরনো পথে হাতড়ে বেড়াতে কার না ভালো লাগে। এ-এক অন্য নস্টালজিয়া। সম্প্রতি, তেমনই কিছু স্মৃ💟তিতে ফিরে নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলেন পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার ও তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী শ্রুতি দাস।
শ্রুতি-স্বর্ণেন্দু ফিরে গিয়েছিলেন গুপ্তিপাড়ায়। হ্য়াঁ, ঠিকই ধরেছেন হুগলির গুপ্তিপাড়ার কথাই বলছি। জায়গাটি চুঁচুড়া সদর মহকুমা ও বলাগড় থানা꧙র অধীন। ভাগীরথী নদীর তীরে রয়েছে গুপ্তিপাড়া। আর সেখানেই রয়েছে পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের পৈতৃক ভিটে। শ্রুতি যেমন বর্ধমানের কাটোয়ার মেয়ে, স্বর্ণেন্দুও তেমন গুগলির গুপ্তিপাড়ার ছেলে। নিজের সেই পৈতৃক ভিটেতেই ফিরে গিয়েছিলেন পরিচালক। বহু পুরনো সেই বাড়িতেই ফিরে গিয়েছিলেন পরিচালক। সেই মুহূর্তটিই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন পরিচালকের অর্ধাঙ্গিনী শ্রুতি।
তাঁর পোস্ট করা ভিডিয়োতো দেখা যাচ্ছে গাড়িতে চড়ে নিজের ফেলে আসা জায়গায় ফিরছেন স্বর্ণেন্দু। সেখানে নেমে একটা ভ🥂ীষণ পুরনো বাড়ি। সেই বাড়ির কাঠের দরজার তালা খুলতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। কেউ একজন পাশ থেকে বললেন, ‘আগে লাঠি দিয়ে বারি (আঘাত) মারবি কিন্তু, তারপর ঢ🎶ুকবি…’। অর্থাৎ ভিতরে সাপ বা অন্যকিছু থাকতে পারে সেই আশঙ্কাতেই সাবধান করা হয়।
আরও পড়ুন-‘মনে হল আমি কি বেঁচে আছি!🧔…’ দেবরাজের কীর্তি ফাঁস করলেন 'রাই কিশোরী' অদিতি মুন্সি
আরও পড়ুন-কিংবদন্তি কিশোর♈ কুমার হয়ে পর্দায় ফিরছেন আমির! কে বানাচ্ছেন এই ছবি?
এরপর বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই স্মৃতিতে ডুব দিলেন স্বর্ণেন্দু। বাড়ির দেওয়ালে টাঙানো বহু পুরনো ছবি, যেটা কিনা প্রায় নষ্ট হয়ে এসেছে। সেই ছবিটা খুলতেই, পাশ থেকে শোনা গেল শ্রুতির গলা। 'এগুলো ফেলো না বাবি, নষ্ট হতে দিও নಞা।' ফের জিগ্গেস করলেন, ‘এটা তোমাদের ঘর?’ স্বর্ণেন্দু বললেন, ‘এই ঘরেই সেই হাঁটছিলাম, বাবা পায়চারি করছিল।’ এরপরই দেখা মিলল পুরনো শিলনোরার, শ্রুতিই দেখালেন। এরপর সেই বাড়ি থেকে বের হয়ে এক মিষ্টির দোকানে বর্ষীয়ান এক মহিলার পা ছুঁয়ে প্রণাম করতেও দেখা গেল পরিচালককে। বোঝাই গেল, তিনিও পূর্ব পরিচিতা। তারপর কিছুটা গিয়ে গুপ্তিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়ি🍎য়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন স্বর্ণেন্দু। পুরনো সেই রাস্তা দিয়ে আবারও একবার হেঁটে যাওয়া, আর বলতে চাওয়া ‘পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায়, ও সেই চোখের দেখা প্রাণের কথা, সেকি ভোলা যায়…'।
এবিষয়ে জানতে Hindustan Times Bangla-র তরফে অভিনেত্রী শ্রুতি দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘প্রায় ২০-২২ বছর ﷺআগে ওই বাড়ি ছেড়ে চলে আসা হয়েছিল। তারপর এই যাওয়া হল। ওই বাড়ি আর স্বর্ণেন্দুদের নেই, বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তবে বাড়িটা এখনও একইভাবে রয়ে গিয়েছে। এখনও কিছু আত্মীয়স্বজন সেখানে রয়েছেন।’