বাইরে থেকে🎉 যতটা কঠিন, ভিতর থেকে ঠিক তততাই নরম ছিলেন সিদ্ধার্থ। যার পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল ‘বিগ বস’র ঘরে। রশমি হোক বা আরতি কিংবা আসীম বা শহেনাজ, যার ওপর যতই রাগ হোক বিপদে সবার আগে এগিয়ে যেতেন সাহায্য করতে। শহেনাজ আর সিদ্ধার্থের খুনসুটি অবাক করত দর্শকদের। ঠিক তততাই মন ভালো করে দিত। বৃহস্পতিবার সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পর প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন করোনার লকডাউনের সময় তাঁদের অ্যাকাউন্টে একপ্রকার জোর করে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। সঙ্গে ফোন করে তাঁদের খোজও নিয়েছিলেন।
‘বালিকা বধূ’ ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন সিদ্ধার্থ শুক্লা ও প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে চলে গিয়েছেন প্রত্যুষা। আর ঠিক তার ৬ বছর পরে না ফেরার দেশে গেলেন সিদ্ধার্থও। প্রত্যুষার বাবা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘আমি ভাবতে পারছি না এটা কীভাবে হল। বালিকা বধূর শ্যুটিংয়ের সময় থেকেই খুব ভালো বন্ধু ছিল ওরা। এমনকী, আমাদের বাড়িতে♏ও এসেছিল আমার মেয়ের সঙ্গে। তবে প্রত্যুষার মৃত্যুর পর ওদের সম্পর্ক নিয়ে অনেক কথা হতে থাকে। তাই সিদ্ধার্থ আমাদের বাড়িতে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে আমাদের খোঁজ নিত।’
শঙ্কর আরও বলেন, ‘আর এই লকডাউনের সময়তো ♈আমাকে অনবরত মেসেজ করত। জানতে চাইত আমাদের কোনও সাহায্য লাগবে কি না। আঙ্কেল-আন্টি তোমরা ভালো আছ? তোমাদের কোন🦩ও সাহায্য লাগবে? আমি কি কিছু করতে পারি? জানতে চাইত। জোর করে আমার অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়েছিল।’
বৃহস্পতিবার সকালে হার্ট অ্যাটাকের কারণে মারা যায় সিদ্ধার্থ। আর তারপর আজ অভিনেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। প্রিয় মানুষটাকে চোখের জলে বিদায় জানায় সকলে। সিদ্ধার্থের পরিবার ও কাছের বন্ধুরা তো উপস্থি😼ত ছিলই এদিন, সঙ্গে ছিল সিদ্ধার্থ অনুরাগীদের ঢল। সকলেই চোখের জলে বারবার জানিয়েছেন, এভাবে ൲চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না!