আরজি কর নꦰির্যাতিতার ফোনের কলার টিউনে বাজত (হয়তো বা এখনও বাজে), ‘আমাদের স্বপ্নগুলো অল্প সময় ঘর পাতালো…’। ৩১ বছরে একবুক আশা ও সারা জীবনের কঠিন পরিশ্রম নিয়ে আরজিকর কলেজের এই ডাক্তার তরুণীর বড় পছন্দের ছিল গানখানা। যা গাওয়া লগ্নজিতা চক্রবর্তীর। এক সাক্ষাৎকারে মেয়েটির প্রেমিক, যার সঙ্গে বিয়ের কথা ছিল সামনের বছরই জানিয়েছিলেন সাক্ষাৎকারে। আর তা নিজের বাবার মারফত জানতে পারেন গায়িকা নিজে। এর আগেই তা নিয়ে লম্বা পোস্ট করেছিলেন সোশ্যালে, রবিবারের মহামিছিলে পা বাড়িয়ে আফশোসের সুরে বললেন, ‘ওঁর সঙ্গে আর দেখা হল না’!
রবিবার নাগরিক মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন লগ্নজিতাও। সেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘এত লোককে এত গান শোনাই। এত শো করি সারা বছর ধরে। এই তো সিজন শুরু হবে। 🗹ওঁর সঙ্গে দেখা হল না! ওঁর যে ছেলেটির সঙ্গে বিয়ে হওয়ারছিল, তাঁর সঙ্গে দেখা হল না। যদিও তাঁর সঙ্গে আলাদা করে যোগাযোগ করে🧜 আমি কথা বলেছি। ওঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিগারেটে সুখটান ধোনির বউ সাক্ষীর! এক নায়িকার পো꧃স্ಌট থেকে সামনে এল ছবি, তুমুল ভাইরাল
মাঝে নেটমাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন সামনে আসছেন না আরজি কর নির্যাতিতার প্রেমিক। কেন নিজেকে আড়ালে রেখেছেন? যদিও নিম্নরুচির এই প্রশ্নের বাণ আগেই বন্ধ করে দিয়েছেন সমাজের কিছু বিচারবুদ্ধিওয়ালা মানুষ। এবার লগ্নজিতার কথাতেও সেই সুর। নিজের ভালোবাসা হারিয়ে যন্ত্রণায় বিঁধে থাকা ছেলেটির প্রসঙ্গে বললেন, ‘আমরা সবাই জীবনে কোনও না কোন🐻ও মানুষকে, কখনো না কখনো ভালোবেসেছি। তা𒀰দের হয়তো বিয়ে করেছি বা করিনি। বা করতে পারিনি। কাজেই আমরা সকলেই বুঝতে পারছি ওই ছেলেটির মধ্যে দিয়ে কী যাচ্ছে। আমি সেই কথাগুলো জনসম্মুখে এনে ওকে অসম্মান করতে চাই না।’
আরও পড়ুন: ‘আমরা ত🎶ো রাস্তায় ♊হিসু করি…’! আরজি কর নিয়ে গোটা রাত ধর্না, সকালে পোস্ট স্বস্তিকার
আরও পড়ুন: ‘এই নির্লজ্জ কমেডির আগে…’! আরজি কর নিয়ে কাঞ্চনকে আক্রমণ সুদীপ্তার, কর𒁃লেন ‘ত্যাগ’
প্রশ্ন তুললেন গায়িকা বিচারব্যবস্থা নিয়ে। তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর যে আস্থা হারিয়ে আসছে তাঁর, তা কথাতেই স্পষ্ট। বললেন, ‘শেষ ৭ দিনেও যে ধর্ষণগুলো হয়েছে, তাতে মানুষ সাহস কোথায় পাচ্ছে। সত্যি বলতে প্রচন্ড বুক ভরা আশা নিয়ে রাস্তায় নামছি এমনটা না। যত দিন যাচ্ছে আশাটা কমছে। কিন্তু বাড়িতে তো তা বলে বসে থাকতে পারব না। পৃথিবীতে তো কত আন্দোলই হয়েছে। যেগুলো সফল হয়নি। 🌸তাই বলে কি আন্দোলনটা হয়নি! আন্দোলনটা তো করতে থাকতে হবে।’