বয়সে সপ্তর্ষি মৌলিকের চেয়ে ১৫ বছরের বড় সোহিনী ℱসেনগুপ্ত। তবে প্রেম থাকলে বয়স কোনও ফ্যাক্টর নয় তা বুঝিয়ে দিয়েছে এই দম্পতির আট বছরের সুখী গৃহকোণ। ২রা অগস্ট, সোহিনী-সপ্তর্ষির বিয়ের বর্ষপূর্তি। দুজনেই থিয়েটার জগতের অতি পরিচিত মুখ, তবে আপতত স্টার জলসার পর্দা কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন দুজনে। ‘শ্রীময়ী’র ছোটছেলে ডিঙ্কা হিসাবে সপ্তর্ষির জনপ্রিয়তা বাঁধভাঙা, অন্যদিকে ‘খড়কুটো’র পুটুপিসি হিসাবে সব্বার ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছেন সোহিনী।
বিবাহবার্ষিকীর দিন সকালে স্ত্রীর জন্য আদুরে শুভেচ্ছা বার্তা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করতে ভোলেননি সপ্তর্ষি। আজকের দিনটা একদম নিজেদের মতো করে উদযাপন করে তাঁরা। সকালে হালকা শ্যুটিং সেরে বাকি দিনটা ছুটি নিয়েছেন। এদিন ফেসবুকের দেওয়ালে সপ্তর্ষি লেখেন- ‘শুভ বিবাহবার্ষিকী ক্যাপ🅰্টেন’।
এদিন সোহিনীর সঙ্গে লাঞ্চ সেরে বিকেলে শ্বশুরমাশাই (রুদ্রপ্রসাদ) সেনগুপ্তের আর্শীবাদ নিতে হাজির হওয়ার কথা জুটির। সপ্তর্ষি এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, ‘আমরা দু’জনেই নানা রকম জিনিস কিনতে ভালবাসি। কিছু কিনব হয়তো। সোহিনী পারফিউম ভালবাসে, ওকে পারফিউম কিনে দিতে পারি’। জন্🐽মদিনে স্ত্রীকে সুগন্ধী উপহার দিতে চান সপ্তর্ষি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা জাননোয় স🌌্ত্রীকে ‘ক্যꦫাপ্টেন’ বলে সম্বোধনের কারণ কী? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই। এই প্রসঙ্গে সপ্তর্ষি বললেন, ‘ক্যাপ্টেন শব্দটার মধ্যে অনেক কিছু আছে। সোহিনী আমার অভিনয়ের প্রথম শিক্ষাগুরু। জীবনের ক্ষেত্রেও দু’জন দু’জনকে ঠিক করে দিই। রোল রিভার্স হয় কখনও। তবে ওকে মাঝেমধ্যেই ক্যাপ্টেন বলে ডাকি’।
২০১৩ সালে ‘নাচনী’ নাটকটা করার সময় সপ্তর্ষির সঙ্গে বন্ধুত্ব সোহিনীর। মাত্র তিন মাস প্রেম করবার পরেই মালাবদল সেরে নেন তাঁরা। ২০১৩ সালের২রা অগস্ট রেজিস্ট্রি করে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন নান্দীকার নাট্যগোষ্ঠীর এই দুই সদস্য। ট্রোলাররা অনেক সময়ই তাঁদের বয়সের পার্থক্য কিংবা একটু বেশিই হ্যান্ডসম স𝓀্বামীকে নিয়ে সোহিনীর দিকে কটাক্ষের আঙুল তোলেন ঠিকই, তবে সেই সব নিয়ে 𝓡কুছ পরোয়া নেই এই জুটির। ভালোবাসার আগলে একে অপরে জাপটে রেখেছেন তাঁরা।