বাঙালি সঙ্গীত পরিচালকদের সুরের ম্যাজিককে সবার সামনে নতুন করে আনার জন্য 'সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশন' বিশ্ব সঙ্গীত দিবস উপলক্ষে এক বিশেষ স্মরণ-প্রদর্শনী 'সুরের ঝর্ণা'র আয়োজন করেছে। দক্ষিণ কলকাতার উইশডম ট্রি, শহরের বুকে একটা নতুন আর্ট স্পেস জুড়ে বাঙালি সঙ্গীত পরিচালকদের কাজের বিরল সম্ভার সাজানো থাকবে। কোথাও শচীন দেব বর্মনের সুরে রাজকুমারের নির্বাসন ছবির ৭৮ আরপিএম রেকর্ড, কোথাও সুধীন✨ দাশগুপ্তের সুরে বঙ্গবন্ধু, মুজিবর রহমানের স্মরণে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া গানের রেকর্ড, আবার কোথাও রবীন চট্টোপাধ্যায়ের সুরে সুচিত্রা সেনের গানের রেকর্ড তো কোথাও নচিকেতা ঘোষের সুরে উত্তম কুমারের গাওয়া গানের রেকর্ড।
এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি রাহুল দেব বর্মনের সুরে আশা ভোঁসলের পুজোর গানের প্রচারপত্র, লতা মঙ্গেশকর থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কন্ঠে প্রথম রবীন্দ্র সঙ্গীত রেকর্ড, আবার এমন রবীন্দ্রনাথের গানের রেকর্ড যখন রবি ঠাকুরের গান 'রবীন্দ্র সঙ্গীত' হয়ে ওঠেনি। মনিহারা ছবিতে রুমা গুহ ঠাকুরতার কন্ঠে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গীত নির্দেশনায় ‘বাজে করুন সুরে’ গ𒉰ানের রেকর্ড।
আরও পড়ুন: 'নতুন করে কিছু প্রমান ক♕রতে চাই না…'ꦑ করণ জোহরের সঙ্গে পুরানো বিবাদ নিয়ে কী বললেন কার্তিক?
সংগ্রাহক সুদীপ্ত চন্দের সংগ্রহ থেকে আয়োজিত এই বিশেষ প্রদর্শনীতে থাকছে বাঙালি সুরকারদের সুর দেওয়া সব ছবির পোস্টারও। পঙ্কজ কুমার মল্লিকের সুরে মুক্তি প্রাপ্ত ছবির পোস্টার, রবি শঙ্করের সুরে 'কাবুলিওয়ালা', সলিল চৌধুরীর সুরে 'সি𝓀স্টার', সত্যজিৎ রায়ের সুরে 'বাক্স বদল', সুধীন দাশগুপ্তর সুরে 'জীবন সৈকতে', নচিকেতা ঘোষের সুরে 'ইন্দ্রানী', শচীন দেব বর্মণের সুরে 'চৈতালি', হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরে 'ফুলেশ্বরী', অনীল বাগচীর সুরে 'অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি', মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়েরꦗ সুরে 'মায়ামৃগ'-সহ বহু ছবির পোস্টারের ছবি থাকছে এই প্রদর্শনীতে।
বাঙালি সঙ্গীত পরিচালকদের মধ্যে গোপেন মল্লিক, তিমিরবরণ, ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়, রবীন চট্টোপাধ্যায়, রাহুল দেব বর্মন, বাপী লাহিড়ী, বীরেশ্বর সরকারের ༒মতো দি♋গপাল সব সুরকাররা যে সব ছবিতে সুর দিয়েছিলেন, সেইসব ছবির পোস্টারও দেখতে পাবেন প্রদর্শনীতে।
আরও পড়ুন: 'তুমি যা কꦬরেছ তাতে আমি খুব...'! ভোটে জেতার পরই দেবকে নি📖য়ে কেন এমন বললেন রুক্মিণী?
'সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশন'-এর সম্পাদক সঞ্জীব আচার্য্য বলেন, “বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে শহরে নানা সঙ্গীতানুষ্ঠান হবে। তার মধ্যে আমরা একটু অন্যরকম আয়োজন করলাম। এই বিশেষ প্রদর্শনীতে যে সকল জিনিস দেখার সুযোগ করে দেওয়া হবে তা দর্শকদের, ফেলে আসা বাংলা গানের গৌরবময় অধ্যায়ের কথা মনে করাবে। তবে শুধুဣ দর্শকরা নন, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুরাও সেই সময়ের গানের রেকর্ড, সিনেমার পোস্টার দ༺েখেনি। ওদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্যেও আমারা নানারকম সাংস্কৃতিক কাজ করে থাকি।"