করোনাকালে যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তা হয়ত খুব কম ꦜমানুষই পারেন। আর সেকারণেই দেশবাসীর কাছে ‘মাসিহা’হয়ে উঠেছেন সোনু সুদ। যাঁদের বিপদে সোনু সুদ পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁরা এখন সোনু বলতে 'পাগল'। কেউ অভিনেতার নামে দোকান খুলছেন, তো কেউ🎃 আবার অভিনেতার নামে ট্যাটু করিয়েছেন। যিনি একসময় অসহায় মানুষের কাছে খাবর পৌঁছে দিয়েছেন, এবার সেই সোনুর নামেই রাখা হল দেশের সবথেকে বড় খাবারের প্লেট।
সোনুর নামে এই বিশাল খাবারের প্লেট নিয়ে এসেছেন হায়দরাবাদের কোন্ডাপুরের জিসমত জেল মান্ডি রেস্তোরাঁ। যে রেস্তোরাঁটি আবার জেলের থিমে সাজানো। এই রেস্তোরাঁর তরফে যে আমিষ খাবারের প্লেট বানানো হয়েছে, তাতে ২০ জনের পেট ভালোভাবে ভরে যাবে। তাঁর নামে তৈরি সবথেকে বড় খাবারের প্লেটের ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন সোনু সুদ। লিখেছেন,🗹 ‘ইন্ডিয়াস বিগেস্ট প্লেট এখন আমার নামে নামকরণ করা হয়েছে। তবে আমি একজন নিরামিষাশী, আর খুব অল্প খাবার খাই, তার নামে এত বড় খাবারের প্লেট থাকতে পারে না যেটা একবারে ২০ জনেক পেট ভরাতে পারে।’ আর নিরামিষাশী হওয়ার কারণেই এতবড় প্লেট থেকে খাবার একটু চেখে দেখতে পারলেন না সোনু।
এদিকে জয়পুরের এক বাসিন্দ সোনু সুদের নামে একটি ফাস্টফুড সেন্টার খুলেছꦛিলেন। সোনু 'বলরাজ' নামে সেই ব্যক্তিকে কথা দিয়েছিলেন, একদিন তিনি তাঁর সেই ফাস্টফুডের দোকানে যাবেন। তবে ব্যস্ততার কারণে সময় করে উঠতে পারছিলেন না অভিনেতা। অবশেষে দু꧙'বছর পর সম্প্রতি সেই দোকানে গিয়েছিলেন সোনু সুদ। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন সোনু সুদ।
সম্প্রতি এক ব্যক্তির প🥀্রাণ বেঁচেছে সোনু সুদের কারণেই। ETimes-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, অভিনেতা সম্প্রতি দুবাই থেকে ফিরছিলেন তখন ইমিগ্রেশন সেন্টারে একটি অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জানা যায়, সোনু যেসময় ইমিগ্রেশন কাউন্টারে ছিলেন, তখন একজন মধ্যবয়সী ব্যক্তি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সোনু তারপর সেই ব্যক্তির মাথাটাকে কুশন করে অবিলম্বে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দিতে শুরু করেন। মিনিট দুয়েক ൲পর ওই ব্যক্তির জ্ঞান ফিরে আসে। গোটা ঘটনায় ইমিগ্রেশন অফিসাররা ছাড়াও সেখানে উপস্থিত সাধারণ মানুষ ধন্যবাদ জানাতে থাকেন তাঁকে।
এদিকে আবার, সম্প্রতি সোনুর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছেন। পরে দোকেন যিনি তাঁদের জন্য কফি বানাচ্ছিলেন তাঁদের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দেন সোনু। একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা দুজনের সঙ্গেও পরিচয় করান। তারপরেই সোনু বুঝতে পারেন দূরে থাকা দুজনের মধ্যে একজন গুটখা খাচ্ছেন। সরাসরি প্রশ্ন করেন সোনু, ‘তুমি কি গুটখা চিবাচ্ছ?’ উত্তর ‘হ্যাঁ’ এলে তিনি গিয়ে ফেলে আসার কথা বলেন। এরপর সেই ব্যক্তি 𓆏ফিরে এলে সোনু উপদেশ দেন গুটখা না খাꦛওয়ার। বলেন, গুটখা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। এমনকি পানের দোকানের মালিককেও অনুরোধ করেন যেন এসব বিক্রি না করেন।