কলকাতা : বরাবরই খেলার প্রতি প্রবল আকর্ষণ ছিল। একেবারে ছবির মতো বলে দিতে পারতেন, ইডেন গার্ডেন্সে কীভাবে পিছনে দৌড়ে ক্যাচ ধরার চেষ্টা করেছিলেন গ্যারি সোবার্স। তবে শুধু খেলা দেখা নয়, স্কুল জীবনে নিয়মিত খেলাধুলো করতেন। খেলতেন ফুটবল, হকি। লং জাম্পে তো স্কুলে প😼ুরস্কার নিশ্চিত ছিল সৌমিত্রবাবুর।
আরও পড়ুন : উত্তম না সৌমিত্র বাঙালির সে🔴রা রোম্যান্টিক🌸 হিরো কে? কিছু প্রশ্নের উত্তর অধরাই থাক
সেই সৌমিত্রবাবুই যে আর নেই, তা বিশ্বাস করতে পারছেন না হাওড়া জিলা স্কুলের প্রাক্তনীরা। সেই স্কুল থেকেই স্কুল ফাইনাল পাশ করেছিলেন সৌমিত্রবাবু। পুরনো স্মৃতিতে ডুব দিয়ে স্কুলের প্রাক্তনীরা জানান, খেলা অ🤡ন্ত প্রাণ ছিলেন সৌমিত্রবাবু। নিয়মিত ফুটবল খেলতেন। ফরোয়ার্ড হিসেবে দাপিয়ে বেড়াতেন। ফুটবল তো ভালো♑ খেলতেনই, স্কুলের হকি দলেও ছিলেন। পাশাপাশি লং জাম্পার হিসেবে বিশেষ পরিচিত ছিল ‘ফেলুদা’-র। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় লং জাম্পে নামলেই সৌমিত্রবাবুর পুরস্কার নিশ্চিত ছিল বলে জানান প্রাক্তনীরা। তাঁদের বক্তব্য, ছোটো থেকেই শারীরিক কসরত করতেন সৌমিত্রবাবু। পঞ্চাননতলা রোডের বাড়ির কাছে যে খেলার মাঠ ছিল, স্কুল থেকে ফিরে নিয়মিত সেখানে ছুটতেন। খেলতে নেমে পড়তেন।
আরও পড়ুন : সৌমিত্রর শেষয🔯াত্রায় রঙের বিভেদ ভুলে পা মেলালেন মমতা-বিমান, এ শহর আজ শুধু অপুর
তবে এত বড়মাপের অভিনেতা হওয়ার পরও স্কꦓুলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। যে কোনও দরকারে ‘সৌমিত্রদা’-কে পেতেন স্কুলের প্রাক্তনীরা। ফোনে ছেলেবেলার স্কুলের খোঁজখবর নিতেন সৌমিত্রবাবু। বছর নয় আগে স্কুলের প্রাক্তনীদের অনুষ্ঠানে স্কুলেও গিয়েছিলেন। সেই সময় রীতিমতো আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন। সহপাঠী এবং প্রাক্তনীদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দিয়েছিলেন। ঘুরে দেখেছিলেন স্কুল।