নতুন করে বিতর্কে সৌমিতৃষা কুণ্ডু। ছোট পর্দা দিয়ে কেরিয়ার শুরু করা এই বাঙালি অভিনেত্রী, দেবের নায়িকা হয়ে বড় পর্দায় পা রেখেছিলেন ২০২৩ সালেরꦜ ডিসেম্বর মাসে। আপাতত ঝুলিতে তাঁর একটাই সিনেমা। আরেকটি মুক্তির অপেক্ষায়। তবে ইন্ডাস্ট্রির অনেক সহকর্মীদের মধ্যেই কানাঘুষো, ‘অহংকারে মাটিতে পা পড়ছে না’। ফের একবার এক কাছের বন্ধুকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করল🦂েন সৌমিতৃষা। একসময় যার সঙ্গে বানাতেন রিল, আজ তাকেই ভুললেন!
রবিবার বন্ধুত্ব দিবস উলক্ষে 🍌একটি পোস্ট করেন অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী। যার সঙ্গে একসময় বেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল সৌমিতৃষার। সেই পোস্টের মর্মার্থই ছিল, বন্ধুরা একটু বিখ্যাত হলেই হাত ছাড়তে পারে! পাশে থাকে পরি🔯বার। তবে তিনি যে সৌমিতৃষা কুণ্ডুর দিকে ইশারা করেছেন, তা স্পষ্ট হল টলিউডের আরেক অভিনেত্রী, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার অনন্যা গুহর মন্তব্যে।
সায়কের ফেসবুক পোস্ট:
মা-দাদা-বউদির সঙ্গে ছবি দিয়ে সায়ক লিখেছিলেন, 'টাকা পয়সা,ফেম মানুষ কে বদলে দেয়। যেই মানুষ গুলো কখনোই বদলাবে না 'পরিবার'। অনেকেই বন্ধুদের জন্য পরিবারকে ইꦕগনোর করে। কিন্তু বিশ্বাস করো যখন তোমার সব থেকে বেশি ক্রাইসিস হবে তখন ১০ জন বন্ধুর মধ্যে ১-২ জন আর পরিবার ছাড়া কাউ কে পাশে পাবেনা। আমিও অনেক করেছি বন্ধুদের জন্য, কিন্তু আলটিমেটলি ওরাও তো মানুষ, ফেম ফলোয়ার পেয়ে চোখের সামনে ওদের বদলে যেতে দেখেছি, দেখেছি বাইরের লোকে๊র কথায় বিশ্বাস করে সব থেকে কাছের বন্ধুকে ছেড়ে দিতে। তাই ২৯ বছরে এসে বুঝেছি পরিবার ছাড়া সব কিছুই টেম্পোরারি।' আর এই পোস্টে অনন্যা কমেন্টে লেখেন, ‘কলকাতার টপ হিরোইন আনফলো করে দিল নাকি রে!’
অনন্যার এই কমেন্টের জবাবে শুধুই দুঃখের ইমোজি দিয়েছেন সায়ক। তবে এক নেট-নাগরিক (যিনি সৌমিতৃষার ভক্ত) কিছ⛎ু মন্তব্য করেন এই কমেন্টে। যা বর্তমানে মুছে ফেলা হয়েছে। তবে অনন্যার সেই নেটিজেনকে দেওয়া জবাব এখনও আছে। তিনি লিখেছেন, ‘অন্তত দুটো সিনেমা করে, পিছন ফুলিয়ে বসে থাকি না। ১২ বছর হল কাজ করছি, আমরা অভিনয় ক্ষমতা বিচার করার আপনি কে? সে আমার꧟ জুনিয়র আমি বলতেই পারি!’
এরপর অনন্যা-সায়𒈔ক আর সৌমিতৃষার ভক্তদের মধ্যে বেশ লড়াই লাগে ফেসবুকেই। দেখা গেল, সৌমিতৃষা বা সায়ক, কেউই বর্তমানে আর একে-অপরকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করেন না! তবে সায়ক-সৌমিতৃষার সঙ্গে আরও এক অভিনেতাকে দেখা যেত, যিনি রিয়াজ লস্কর, তাঁকে এখনও ফলো করছেন মিঠাই-রানি।
প্রসঙ্গত, মিঠাই সিরিয়ালে এক🥂সঙ্গে কাজ করেছিলেন সৌমিতৃষা আর অনন্যা। এই সিরিয়ালের আরও কিছু সহ-অভিনেতাকে আনফলো করেছেন সৌমিতৃষা এর আগে। যাতে ছিলেন তন্বী লাহা রায়। সেইসময় নাম না করে, 🎉সৌমিতৃষার নামে ক্ষোভ উগড়েও দিয়েছিলেন তন্বী। যদিও অভিনেত্রীর মায়ের মৃত্যুর পর ফের বন্ধুত্বের হাত বাড়ান সৌমিতৃষা। বর্তমানে তিনি আরও একবার ইনস্টাগ্রামে ফলোও করছেন।
কদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে এই ‘আনফলো’ বিতর্কে চাঁচাছোলা জবাবও দিয়েছিলেন প্রধান-নায়িকা। বলেছিলেন, অনಞেককেই তিনি আনফলো করেছেন। সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সেটা নিয়ে অহেতুক চর্চা কেন হবে তা বু🃏ঝেই উঠতে পারেন না। জানান তিনি দিয়া, ঐন্দ্রিলা, উদয়-সহ মিঠাই পরিবারের অনেককেই আর ফলো করেন না। এবার সেই তালিকায় যোগ হল আরও একটা নাম, সায়ক চক্রবর্তী!