মমতা শঙ্করের ‘শাড়ির আঁচল’ মন্তব্যে তোলপাড় টলিপাড়া। নারীবাদীদের একটা বড় অংশের দাবি ওই বক্তব্যে ‘দেহ পসারিনী’ বা ‘যৌনকর্মী’দের অপমান করেছেন। তবে সেই কথা মানতে না-রাজ শ্রীলেখা মিত্র। সেই প্রসঙ্গেই নিবেদিতা অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেহ-ব্যবসা, যৌনꦏতা থেকে নিজের যৌন জীবন꧙ নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন অভিনেত্রী।
যৌনকর্মীদের পেশাকে ছোট করতে না-রাজ শ্রীলেখা। তবে অভিনেত্রীর কথায়,'আমাদের সমাজটা খুব রিগ্রেসিভ। ‘সেক্স’ শব্দটা গুগলে সবচেয়ে বেশি সার্চড একটা শব্দ। অথচ সেটা বলতে বা সেটা সম্পর্কে জানতে, সেক্স এডুকেশনটা আমাদের দেশে, রাজ্যে, আমাদের মানসিতায় ক⛎িংবা মগজে জিরো। সেক্স ব্যাপারটা যেন শুধু বংশবৃদ্ধির জন্য। বাচ্চা হয়ে গেলꦑ, ব্যাস'।
শ্রীলেখা আরও বলেন, ‘দেহ🀅 পসারিনীরা কিন্তু সমাজের মেথর হিসাবেও থাকেন। একজন পুরুষ যখন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক নেই তখন সে পয়সা দিয়ে সেক্স কিনছে। এখানে কেউ দোষী নয়’। আজকাল নারীর পাশাপাশি পুরুষরাও দেহ-ব্যবসায় নেমেছে, খোলাখুলি জানান শ্রীলেখা। অভিনেত্রী বলেন, ‘আজকাল তো জিগোলোতে চারিদিক ভর্তি। মানুষ এখন যে কোনও উপায়ে টাকা চায়।’
জিগালোরাও কি সমাজের উপকার করছে? সঞ্চালিকার এই প্রশ্নের জবাবে শ্রীলেখা বলেন, ‘হতেই পারে। যে মহিলার বর তাঁর সঙ্গে কিছু করছে না, কিংবা যে মহিলার ইচ্ছে হয়েছে….। আমার জিগালোর দরকার নেই, আশা করছি তোমারও দরকার নেই।’ এক দশকেরও বেশি সময় আগে বিয়ে ভেঙেছে শ্রীলেখার। কেন সিঙ্গল শ্রীলেখার জীবনে কেন পেশাদার যৌন সঙ্গীর দরকার নেই? চারপেয়ে সন্তানদের নিয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী বলেন,'আমি এখন স্পিরিচুয়াল হয়ে গিয়েছি। জীবনের এই ধাপটায় এসে আমি যার তার সাথে আমি পারব না। আমার প্রায় দেড়-দু-বছর হল সেক্সুচুয়্যাল লাইফ নেই।' শ্রীলেখার জীবনে নাকি বিদেশি পুরুষ কড়া নেড়েছিলেন? মিষ্টি প্রেমের গল্প ফাঁস করলেন অভিনেত্রী জানান, ‘কথাবার্তা হয়। ডেভিড বলে স্প্যানিশ-আমেরিকান। খুব মিষ্ট একটা ব্যাপার হয়েছিল, ছোট্ট লাভস্টোরি গোছের। আমার জীবনে ভালো লাগাটা জরুরি।’
পেশিবহুল পুরুষে আকৃষ্ট হন না শ্রীলেখা। অকপটেই বলে দিলেন- ‘ঘটনার আগে-পরে সেই মানুষটার সঙ্গে আমাকে কথা বলতে হবে। তাই মানুষটার এইটা (ইশারা মগজের দিকে) থাকতে হবে’। সেক্স লাইফ নিয়ে সঞ্চালিকার অতিরিক্ত💮 খোঁচায় বিরক্ত শ্রীলেখা বলেন, ‘আমার যৌন জীবনের প্রতি তোমার এত কৌতুহল। আমি তোমাকে আমার বেডরুমে নিয়ে আসছি। আমি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কারুর সাথে মিশি না। কাজটা আমি পুজো করি। সেখানে আদান-প্রদানের গল্প নেই। যাঁরা ক্🐈ষমতায় রয়েছেন, তাঁদের আমি খুশি করে চলব না।’
নিজেকে ‘স্যাপিওসেক্সুয়াল' বলে দাবি করলেন শ্রীলেখা। এ🌠সব ব্যক্তিদের প্রেম ও যৌনতার অনুভূতি আবর্তিত হয় সঙ্গীর বুদ্ধিমত্তাকে ঘিরে। পুরুষ সঙ্গীর শারীরিক সৌন্দর্য নয়, মানুষটির গভীর চিন্তাশক্তি, কৌতূহলী মনোভাব, প্রচলিত ব্যবস্থাকে প্রশ্ন করার মানসিকতায় মোহিত হন শ্রীলেখা।