আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া হোক বা ময়দানে নেমে, বরাবরের মতোই শাসক বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র। নিজেকে প্রকাশ্যে CPI(M)-এর সমর্থক বলতেও কোনওদিন কুণ্ঠাবোধ করেননি অভিনেত্রী। শুধু তৃণমূল নয়, প্রয়োজনে বিজেপির বিরুদ্ধেও সুর চড়াতে ভোলেন না শ্রীলেখা মিত্র। আরও পড়ুন-ꦦ‘নিজের ড্রাইভারের সঙ্গে কীসব বাধিয়েছিল..’! কুণালের খোঁচཧায় কি শ্রীলেখা, ২০০৪ সালে কী হয়েছিল?
শ্রীলেখা মিত্রর সঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের তরজা নতুন নয়, তবে আরজি কর আবহে তা নতুন মাত্রা পেয়েছে। সম্প্রতি নাম না করেই শ্রীলেখাকে অতীত♔ নিয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন কুণাল লিখেছেন, ‘নিজের ড্রাইভারের সঙ্গে যেন কীসব বাধিয়েছিলেন এক বিপ্লবী অভিনেত্রী..’। এবার পালটা জবাব দিলেন শ্রীলেখা। তিনি অবশ্য কারুর নাম নিত পিছপা হলেন না। সরাসরি কুণাল ঘ🔯োষের নাম নিয়েই কড়া জবাব অভিনেত্রীর। ‘শাসকদলের মুখপাত্রেরা থেকে শুরু করে তাদের অন্নে প্রতিপালিত যে মিডিয়া বা ইউটিউব চ্যানেলগুলো’কেও একহাত দিলেন শ্রীলেখা।
তাঁর প্রশ্ন, ‘জ্যোতিবাবু বা বুদ্ধদেববাবুর মুখ্যমন্ত্রীত্বের সময় বিরোধী মননের মহিলা শিল্পীদের প্রতি এই আক্রমণ, এই অসভ্যতামি হতে পারে, এটা ভাবতেও পারতেন কেউ?’ ফেসবুকে শ্রীলেখা মিত্র লম্বা পোস্টে লেখেন, ‘প্রতিদিন বিভিন্নভাবে ওঁরা বিভিন্নজন আক্রমণ করছেন - আজও কুণালবাবু ২০০৪- এ আমার একজন গাড়িচালকের অভব্যতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে আমার একজন পুলিশ আধিকারিকের কাছে করা অভিযোগের কথা বিকৃতভাবে বলেছেন- ঘটনাটা সেই 𒐪সময় সম্ভবত কুণালবাবুর পত্রিকায় প্রকাশিতও হয়েছিলো। সেই পুলিশ অফিসার বর্তমানেও কর্মরত, আরও অনেক উচ্চপদে কর্মরত। কুণালবাবু কি এই প্রসঙ্গ তুলে ওই পুলিশ আধিকারিকের পেশাদারিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুললেন? একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর সময়ে তাঁর দলের মুখপত্র একজন মহিলা সম্পর্কে অর্ধসত্যকে এমন বিকৃতির সাথে প্রচার করছেন, যাতে কোনো সাধারণ মানুষ পরম কৌতুহলে অনেককিছু ভেবে বসতেই পারেন, তখন ডা. সুবর্ণ গোস্বামীর মতো আমিও আইনের আশ্রয় নিলে বলা হবে যে উনি তো শুধু ড্রাইভারের কথা বলেছেন! অথচ এটি বলার সময় তাঁর শরীরী ভাষা ও শব্দচয়ন দেখে / শুনে যে কোনও মননশীল মানুষই বুঝবেন যে ওঁর উদ্দেশ্য কী ছিলো!’
তবে কুণাল ঘোষকে গুরুত্ব দিতে না-রাজ শ্রীলেখা। কারণ কুণালবাবুর দলনেত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তাঁকে গুরুত্ব দেন না বলে মনে করেন অভিনেত্রী। তিনি লেখেন, ‘এখন আমার কী করা উচিৎ, এটা নিয়ে অনেকটা ভেবে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে যেদিন আর একজন মহিলা, বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্✃যোপাধ্যায় কুণাল ঘোষের সেই কথায় গুরুত্ব দিয়ে ♏ওঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন ও আইনি এবং অন্যান্য ব্যবস্থা নেবেন যে,'সারদা, রোজভ্যালির আর্থিক কেলেঙ্কারির সবচেয়ে বড় বেনিফিসিয়ারির নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেলো বাংলোয় আমার উপস্থিতি ও মধ্যস্ততায় এসব সেটল হয়েছিলোট'- সেইদিনই আমিও কুণালবাবুকে গুরুত্ব দিয়ে যা ব্যবস্থা নেওয়ার, নেবো! যে ব্যক্তির কুৎসাকে তাঁর প্রবল প্রতাপশালী দলনেত্রীই গুরুত্ব দেন না, তাঁকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো মানে আছে কি?’