আর জি কর কাণ্ডের জেরে প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা। আর তাঁদেরকেই ‘বেতন নেবেন? বোনাস নেবেন না?’ কটাক্ষ করে রোষের মুখে কাঞ্চন মল্লিক। রবিবার কোন্ননগরে বসে করা কাঞ্চনের এই বিবৃতি আগুন গতিতে ভাইরাল। সোমবার দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় কা়ঞ্চনকে ‘তুলোধনꦿা’ করেছে সেলেব থেকে আম জনতা। স্বামী সোহাগ দেখিয়ে বিপাকে শ্রীময়ীও। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকেও সোমবার বিকালে শ্রীময়ী জান🅰ান, কাঞ্চন ভুল কথা বলেননি।
রাত গড়াতেই উলটো সুর শ্রীময়ীর গলায়। বরের হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন মিসেস কাঞ্চন মল্লিক। এখানেই থামলেন না রীতিমতো ‘ইমোশন্যাল’ গল্পওꩵ শোনালেন কাঞ্চনের ‘হিট অফ দ্য মোমেন্ট’ বলে ফেলা কথাগুলোর জন্য। কিন্তু সত্যি কি তাই? নাকি দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে সতর্কবাণী পেতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেন কাঞ্চন-জায়া?
রাতে দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে শ্রীময়ী লেখেন, ‘…. কাঞ্চন ডাক্তারদেরকে নিয়ে যে কথাটা বলেছে যে সরকারি বেতন বা বোনাসের কথা উল্লেখ করে সেটাতে আমি একদমই সহমত পোষণ করছি না , এটা বলা হয়তো ওর ভুল হয়েছে , এটা অন্যায় হয়েছে। তবে একটা কথা বলে রাখা উচিত প্রত্যেকটা মানুষের প্রত্যেকদিন ♐হয়তো মেজাজ ঠিক থাকে না’।
এরপর শ্রীময়ীর দাবি কাছের মানুষের মৃত্যুতে হিট অফ দ্য মোমেন্টে কাঞ্চন বলে ফেলেছেন ঔই কথা। অভিনেত্রী বলেন, ‘লাস্ট যেদিন IMU এর বনধ্ ছিল সেদিন কাঞ্চনের এক পরিচিত ভাতৃস্থানীয় বলা যেতে পারে তার মায়ের ইন্টারন্যাল ব্লিডিং শুরু হয়েছিল ব্রেন থেকে এবং তাকে ডক্টরের কাছে অ্যাডমিট করার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেছে বিভিন্ন হসপিটাল এবং সেখানে তার চিকিৎসা পায়নি সকাল থেকে ইমারজেন্সি বিভাগ বন্ধ ছিল এবং সেখানেও অবরোধ চলছিল, তো সেই ছেলেটি বারবার কাঞ্চনকে ফোন করছিল যে আমার মাকে বাঁচাও কাঞ্চন দা… কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সকালের ঘটনা এটা , বিকেল বেলা পাঁচটা নাগাদ তার মা মারা যায়, তখন সে ক🍃াঞ্চনকে লেখে ‘থ্যাংক ইউ কাঞ্চনদা আর কোন মেডিকেল সহযোগিতার জন্য তোমাকে বারবার বলবো না, আর লাগবেও না, আমার মা-ই চলে গেল যার জন্য এত লড়াই ছিল। কাঞ্চনকে অনেকেই এই ক’দিনে সকালবেলা ও রাত্রিবেলা তো অনেক ♈রাত পর্যন্ত ফোন করে হসপিটালে এডমিশনের জন্য বলেছে বিভিন্ন জেলা থেকে, হয়তো পরিস্থিতিটাই এরকম নিজের মাথা ঠিক রাখতে পারেনি এবং ভুলবশত হিট অফ দ্য মোমেন্ট বলে দিয়েছে , কিন্তু এটা কোন কাউকে ছোট করার জন্য বা কাউকে সাপোর্ট করার জন্য, বা যারা প্রতিবাদ করছেন, যারা রাস্তায় নেমেছেন প্রতিবাদের জন্য তাদেরকে ছোট করার জন্য বা তাদেরকে ক্রিটিসাইজ করার জন্য বা কোন অন্যায়কে সাপোর্ট করার জন্য কথাগুলো বলেনি’।
শ্রীময়ীর সাফাই, ‘কোন ডাক্তারকে ছোট বা অপমান করার উদ্দেশ্যে কথাগুলো বলা হয়নি,, ডাক্তারদের জুনিয়র বা সিনিয়র ডিসক্রিমিনেশন করার জন্য এগুলো বলা হয়নি,,আমাদের সাথে অনেক ডাক্তারের খুব সুসম্পর্ক তারাও এই ঘটনার জন্য আমাদেরকে ফোন করেছে, তাদেরও খারাপ লেগেছে,, আর এটাই স্বাভাবিক,, তারা ভালবাসেন বলে হয়তো ফোন করে খবর নিয়েছেন,, এটাই বলব কয়েকদিন যাবত যে ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ব্যক্তিগ🌄ত কাঞ্চনকে,যা মানসিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে সেটার পরিপ্রেক্ষিতেই হয়তো একটা ভাবনা-চিন্তা থেকে একটা দুঃখ, ক্ষোভ বেরিয়ে গেছে, ওর কথাগুলো ভেবে বলা উচিত ছিল, স্লিপ অফ টাং হয়েছে তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী এবং কাঞ্চনের হয়ে আমিও ক্ষমা চাইছি। আবারও বলছি কেউ ভুল বুঝবেন না ,কাউকে ব্যক্তিগত স্তরে আঘাত দেওয়ার জন্য কথাগুলো বলা হয়নি, অন্যায় হয়েছে, ভুল হয়েছে এবং আমরা সকলেই চাইছি ,জাস্টিস ফর আর জি কর এবং আমি একজন নারী হয়ে,নারীর সুরক্ষার জন্য আমরা সকলেই আর্জি জানাচ্ছি।’
এদিনই এক্স হ্যান্ডেলে🐷 অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করে বলেন, ‘দল নির্বিশেষে জনপ্রতিনিধিদের আরও নম্র এবং সহানুভূতিশীল হতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যেকের কাছে আমি আর্জি জানাব যে তাঁরা যেন স্বাস্থ্য সমাজ বা নাগরিক সমাজের কারও বিরুদ্ধে আজেবাজে মন্তব্য না করেন। প্রত্যেকের প্রতিবাদ এবং 💙মতপ্রকাশের অধিকার আছে।’