‘আমার মেয়েকে কে ফেরাবে?’ আরজি কর আবহে দেব-রুক্মিণী-সৃজিত-স্বস্তিকাদের পুজোর ছবি 'টেক্কা'র এমন একটা পোস্টার ঘিরে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। সিনেমার প্রচারে আরজি করের আবেগকে কাজে লাগানো হচ্ছে, এমনই অভিযোগ তুলে খোঁচা দিয়েছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যদিও বিতর্ক দানা বাঁধার ঠিক পরপরই প্রযোজক-পরিচালকের তর✅ফে 'টেক𝓰্কা'র বিতর্কিত পোস্টার বদলে ফেলা হয়।
শুরুতে টেক্কার বিতর্কিত পোস্টারে ছিল ‘আমার মেয়েকে কে ফেরাবে?’ পরে ফেল লেখা ছিল 'সময়!' সেই পোস্টার বদলে ফেলে করা হয় 'আমার অবন্তিকাকে কে ফের𓂃াবে? সময়!' অর্থাৎ পোস্টার থেকে ‘মেয়ে’ শব্দটি বদলে চরিত্রের নাম বসানো হয়। আর এবার এই🍌 পোস্টার বিতর্ক নিয়েই মুখ খুললেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও প্রযোজক দেব।
বিতর্কিত পোস্টার নিয়ে 'টেক্কা'র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এই সময়কে বলেন, ‘এখানে মেয়ে বলতে আমরা স্বস্তিকার মেয়ের কথা বলেছি। গল্পের প্লটটাই তো ওর মেয়ে। কিন্তু আমরা খুূব সেনসেটিভ একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি তো, আর তাই এই সময় দাঁড়িয়ে এই শব্দটা, বিশেষ করে মেয়ে শব্দটা কাউকে কাউকে হয়ত ট্ꦰরিগার করলেও করতে পারত। এটা যদি শুধু তিলোত্তমার বাবা-মাকেও ট্রিগার করত, সেটাই আমার মনে হয় যথেষ্ট কারণ সবকটা পোস্টার নামিয়ে নেওয়ার। আর কাউকে আঘাত করার প্র🍸য়োজনও নেই। তো আমার আর দেবের সেটাই মনে হয়েছে, এটা যদি একটা মানুষকেও আঘাত করে, তাহলে অবশ্য বদলে ফেলা উচিত। আর এক্ষেত্রে মোমেন্ট মার্কেটিং করা সম্ভব নয়, কারণ ৬মাস আগে লেখা একটা গল্প, শ্যুটও হয়ে গিয়েছিল, তাই সবকিছু তৈরিই ছিল। আগে থেকেই সবকিছু তৈরিই ছিল। আর আমি মনে করি না যে মোমেন্ট মার্কেটিং-এর নৈতিকতা আছে।’
এবিষয়ে 'টেক্কা'র অভিনেতা, প্রযোজক দেব এই সময়কে বলেন, ‘দর্শকদের যদি মনে হয় যে এটা ভুল বা এটা হওয়া উচিত নয়, তো সেটাও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে ১০০ জনও গুরুত্বপূর্ণ, আবার ওই ১০০ জনের মধ্যে যে বলছে এটা খারাপ, সেও গুরুত্বপূর্ণ। আর আমি ছবি বানিয়েছি কাউকে দুঃখ দেওয়ার জন্য নয়, বা কারোর অভিশাপ 𓂃নেওয়ার জন্য নয়। একটা শব্দ বদলে ফেললে আমারও তো কোনও অসুবিধা নেই। আমার ছবিটার বিশাল খামতি হয়ে যাবে, বা আমার মান সম্মান চলে যাবে সেটাও নয়। আর আমার কোনও ইগো নেই। যদি কারোর মনে হয়ে থাকে, যে এটা ভুল, তাহলে আমার চরিত্রকে ব্যবহার করতে পারি। তাই সৃজিতকে বললাম, মনে হয় এটা চেঞ্জ করা উচিত। তাই টিমকে বলেছিলাম এখনই প্রিন্টে পাঠাও রাতের মধ্যেই যেন বদলে যায়। তারপর আমার টিম সব পোস্টার লোক লাগিয়ে বদলে ফেলেছিল।’
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি আসলে জানতামই না যে পোস্টাররা বেরিয়েছে। যখন সৃজিত আমায় বলেছিল, আমরা একটা পোস্টার বদলে ফেলে এভাবে বের করছি। তখন আমি জেনেছি যে আগের পোস্টার কী ছিল, আর সেই পোস্টার কেন বদলে ফেলা হল। আমার মনে হয়, যাঁরা শুধু আমার একার পোস্টার দেখে রি-অ্যাক্ট করল, তাঁরা কিন্তু গোটাটা দেখেনি। শুধু একটা নির্দিষ্ট জিনিস দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় তর্ক-বিতর্ক করা হয়েছে। আমার মেয়েকে কে ফিরিয়ে দেবে, সময়! এই গোটাটা একটা প্রমোশন ছিল। তবে বুঝলাম সময় বিষয়টা হাফিস হয়ে গিয়ে শুধু ওই আমার ☂বিষয়টি নিয়ে তর্ক বিতর্ক হচ্ছে। আর একটা কথা আমি বারবারই বলছি, এক্ষেত্রে আমার কিছু করার নেই। শুধু আমার কেন, কোনও অভিনেতা-অভিনেত্রীরই এটা ঠিক করার বিষয় নয়। আসলে ছবির বিষয় নিয়েই প্রশ্ন করে পোস্টার বানানো হয়ছিল। শুধু নতুন পোস্টারে মেয়ের জায়গায় নামটা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’