শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন সৃজিত মুখোপাধ্য়ায়। হঠাৎ করে কেন চটলেন জাতীয় পুরস্ক💟ার জয়ী পরিচালক? এদিন মির্চি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের নমিনেশন তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেই তালিকায় সেরা গানের নমিনেশনে জায়গা হয়নি সৃজিতের ‘X= প্রেম’ ছবির কোনও গানের। গত বছর বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম হিট গান এই ছবির ‘ভালোবাসার মরসুম’, অন্য গানগুলিও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মিউজিক চার্টে রাজত্ব করা এই ভাইরাল গান কেন কীভাবে বাদ পড়ল তালিকা থেকে তা দেখে হতবাক অনেকেই। কারুর নাম না করলেও অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের জুরি সদস্যদেরও বিঁধতে ছাড়লেন না সৃজিত।
এদিন ফেসবুকের দেওয়ালে সৃজিত লেখেন, ‘ভালোবাসার মরশু💞ম (Bhalobasar Morshum) এবং এক্স=প্রেম (X=Prem) বছরের সেরা গান এবং বছরের সেরা অ্যালবামের অধীনে মির্চি মিউজি🅰ক অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত হননি। সপ্তক সানাই দাস, তুমি চিন্তা করও না। তাঁরা গানগুলি শুনেছে, দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখেছে এবং এটাও বুঝতে পেরেছে যে অ্যাওয়ার্ড জেতা থেকে আটকাতে এটিই একমাত্র উপায়। এমন নমিনেশন তালিকা বানিয়েছে আসলে তাঁরাও বোঝেনি এর জেরে ওরাই হাসির খোরাক হবে’।
এই তালিকায় দেখা যাচ্ছে সেরা গানের দৌড়ে নমিনেশন তালিকায় জায়গা পেয়েছে, ‘টাপা টিনি’ (বেলাশুরু), ‘আজকে রাতে’ (বিসমিল্লাহ), নো-চাপ (হামি ২), হামি ২ টাইটেল ট্র্যাক (হামি ২), সায়েন্স আছে𓃲 (হামি ২) এবং ফিরে তাকাও (কলকাতার হ্যারি)। অ্যালবাম অফ দ্য ইয়ার-এর তালিকাতেও আশ্চর্যজনকভাবে বাদ ‘এক্স=প্রেম (X=Prem)’। যদিও ভালোবাসার মরসুম গানের জন্য সেরা গায়ক এবং গায়িকার দৌড়ে রয়েছেন অরিজিৎ সিং এবং শ্রেয়া ঘোষাল। শ্রোতাদের মধ্যে এই ছবির গানগুলো নিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও কেন সেরার তালিকায় নেই এটি! হতবাক সকলেই।
অপর এক পোস্টে সৃজিত মির্চি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের এক জুরি সদস্যকে⛄ বিঁধে লেখেন, ‘কী করে এক জুরি সদস্য বা তাঁর ছবি কিংবা মির্চির কোনও কর্মী মির্চি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত হতে পারে? এটা কী মজা হচ্ছে🌼?’ নেটিজেনদের অনেকেই সৃজিতের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। অনেকে আবার এইসব পুরস্কার নিয়ে মাথা না ঘামানোর পরামর্শ দেন পরিচালককে।