সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওপার বাংলার যে ভয়ংকর ছবি উঠে এসেছে তা নিয়ে শঙ্খিত এপার বাংলাও। হিংসার ছবি বিব্রত করেছে দুই দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষকেই, ক্ষোভ-প্রতিবাদ-নিন্দার ঝড় সব মহলেই। নিজেদের মতো করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জাহির করছেন দুই বাংলার তারকারা। এবার সেই তালিকায়🎐 যোগ হল অভিনেত্রী, সমাজকর্মী রাফিয়াত রাশিদ মিথিলার নাম। সৃজিত ঘরনি সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া বার্তা দিলেন।
নিজের সোশ্যাল মিডি🎉য়া প্রোফাইলে সৃজিত ঘরনি লিখেছেন, ‘ধর্মের নামে রাহাজানি বন্ধ হোক। ঘৃণার ব্যবসা বন্ধ হোক। সবার উপরে মানুষ, মানবতা সত্য হোক। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুন্দর জীবনের জন্য একটা শান্তিপূর্ণ পথিবী গড়া আমাদের দায়িত্ব’।
গত বুধবার অষ্টমীর রাতে কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক হিংসা শুরু। একটি পুজো মণ্ডপে কোরান শরিফের অসম্মান করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মণ্ডপে ভাঙচুর শুরু হয়। চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এবং কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিভিন্ন মন্দিরে হামলা চালানো হয়। বেশ কিছ🦄ু ছবিও প্রকাশ্যে আসে যাতে𓂃 দেখা যায় দুর্গা প্রতিমা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর হিংসার আঁচ ক্রমশ ছড়িয়ে পর, এমনকি রাজধানী ঢাকার রাস্তাতেও হিংসার ঘটনা ঘটে। গতকাল (রবিবার) বাংলাদেশের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় সংখ্যালঘুদের ২০টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। হিংসার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধনকারীদের উপর ঢিল ছোড়া হয় ফেনীতে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেনীতেও সংঘর্ষ হয়। বাংলাদেশের হাসিনা সরকার ইতিমধ্যেই কঠোর হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের প্রয়াস চালাচ্ছে। সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আসাদুজ্জামান খান মেনে নিয়েছেন, এই হিংসার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল।