বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। ৬ এপ্রিল অভিনেত্রীর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী। এত বছর কেটে গিয়েছে, তবু আজও মহানায়িকার জীবন নিয়ে ভক্তদের মনে উৎসাহ এক বিন্দু কম🐠েনি। চিরকাল নিজের জীবন নিয়ে খুব একটা খোলাখুলি কথা বলেননি সুচিত্রা সেন।
পাবনার বাড়িতে সুচিত্রা-স্মরণ
সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়ি পাবনায়। দেশভাগের আগে পরিবারের সঙ্গে ভারতে চলে আসেন অভিনেত্রী। ৬ এপ্রিল তাঁর জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রকের সহযোগিতায় পাবনার জেলা প্রশাসন ও সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ যৌথ উদ্যোগে মহা-নয়িকার স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে এক স্মরণসভার আয়োজন করে। আরও পড়ুন: রালিয়া থেকে�𓃲� শিল্পা, অয়ন! ‘রামায়ণ’ প্রযোজকের জন্মদিন পার্টিতে চাঁদের হাট, হাজির আর কারা
কিংবদন্তি মহানায়িকার জন্মবার্ষিকী স্মরণে রেখে নিউইয়র্কে আগামী ২০ এবং ২১ এপ্রিল সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মলনে নিউইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে এই চলচ্চিত্র উৎসব হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। আরও পড়ুন: ‘মেয়ে নাকি, যে কোমরে হাত…’, ভক্তকে সপাটে চড় মারল🦂েন জ্যাকি! কী ঘটেছিল জানলে অবাক হয়ে যাবেন
৬ এপ্রিল, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পাবনা শহরের হেমসাগর লেনে মহানায়িকার পৈতৃক বাড়িতে সুচিত্রা সেনের ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ করা হয়। পাবনা জেলা প্রশাসন ও সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। কিংবদন্তি অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর একবার মাতৃভূমিতে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন সুচিত্রা-কন্যা মুনমুন সেন। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তবে মুনমুন সেন জানান, বহুদিন তিনি বাংলাদেশে যাননি। এবার গেলে পাবনাতেই যাবেন। আরও পড়ুন: স্যান্ডেল থেকে পিপ টো, 🔜হাজার খানিক জুꩵতোর কালেকশন নুসরতের! দাম জানলে চমকে উঠবেন
সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক ভিটে
১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনা জেলায় জন্ম নেন সুচিত্রা। ৯🍸 ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম। মা-বাবা নাম রেখেছিলেন রমা। কিন্তু পাবনার মহাকালী পাঠশালার খাতায় তাঁর নাম ছিল কৃষ্ণা দাশগুপ্ত। পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনের একতলা পাকা পৈতৃক বাড়িতে সুচিত্রা সেনের শৈশব ও কৈশোর কাল কেটেছে। কলকাতায় যাওয়ার বছর দু’য়েক পরেই সেখানকার বনেদি পরিবারের ছেলে দিবানাথ সেনের সঙ্গে বিয়ে রমার। ছবিতে অভিনয় শুরু পর তাঁর নাম হয় সুচিত্রা। পরিচালক সুকুমার দাশগুপ্তের সহকারী নীতীশ রায় তা বদলে রাখেন সুচিত্রা।
সুচিত্রা সেনের জীবন
বাংলা চলচিত্রের মহানায়িকা সুচিত্রা সেন ১৯৫২ সালে 'শেষ কোথায়' সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। একে একে বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে প্রায় ৬০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তার অভিনয় গুণাবলীর জন্য তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক একাধিক পুরুস্কার পেয়েছেন। দীর্ঘদিন অন্তরালে থাকার পর ২০♊১৪ সা⛎লের ১৭ জানুয়ারি বার্ধক্যজনিত জটিলতার কারণে মারা যান সুচিত্রা সেন।