বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের মহানায়ক এবং মহানায়িকা ছিলেন তাঁরা। তাঁদের൲ অনস্ক্রিন রসায়ন বারবার মিগশ করত আপামর বাঙালিকে। একসঙ্গে একাধিক ছবি তো করেইছিলেন তাঁরা, উপহার দিয়েছিলেন বহু বক্স অফিস হিট। কিন্তু জানেন কি সেই সহকর্মী তথা উত্তম কুমারের শেষ ইচ্ছে পূরণ করেননি সুচিত্রা সেন।
কী চেয়েছিলেন উত্তম সুচিত্রার থেকে?
১৯৮০ সালে ওগো বধূ সুন্দরী ছবির শ্যুটিং করতে করতেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন উত্তম কুমার। তাঁর চলে যাওয়া অনেককেই গভীর ভাবে আঘাত দিয়েছিল। তবে জানেন কি মৃত্যুর ঠিক এক সপ্ত𓆏াহ আগেই সুচিত্রা সেনের কাছে একটি বিশেষ আবদার করে বসেন উত্তম কুমার যা আর রাখা হয়নি মহানায়িকার।
আলো আমার আলো ছবিটিতে সুচিত্রা সেনের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন উত্তম কুমার। টিভিতেই দেখেছিলেন সেই ছবি। তখন তিনি ফোন করে সুচিত্রা সেনকে তাঁর সঙ্গে একবার দেখা করার কথা বলেছিলেন। একদিন দেখা করবি বলেও সেই দেখা করতে যে𝓀তে পারেননি সুচিত্রা। তখন তিনি টলিউডের অন্যতম ব্যস্ততম নায়িকা ছিলেন। আর তাই তাঁর রাখা হয়নি উত্তম কুমারের শেষ ইচ্ছে।
উত্তম কুমার যেদিন চলে যান সেই খবর সুচিত্রা সেনের কাছে পৌঁছলে তিনি সেটা সহ্য করতে পারেন না। এমনকি শেষবারের জন্য মহানায়কক🌠ে দেখতে যাবেন না বলেও ঠিক করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রোদ চশমা পরে গিয়েছিলেন সহকর্মী, বন্ধুর সঙ্গে শেষ দেখা করতে।
আজ মহানায়ক উত্তম কুমারের মৃত্যু দিবস। ৪৪ বছর আগে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি। রেখে যান তাঁর কাজ এবং অগণিত ভক্তদের। আজ বাংলা ছবির মহানায়ক বলতে সকলেই তাঁকে বোঝেন। ❀আর এমন দিনেই এবারের মহানায়ক সম্মান প্রাপকদের নাম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, নচিকে🤡তা চক্রবর্তী, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, রুক্মিণী মৈত্র এই পুরস্কার পেয়েছেন।