২০০৫ সালে অভিনয় প্রশিক্ষক দামিনী বেণী বসুকে বিয়ে করেন সুদীপ মুখোপাধ্যায়। তবে ২০১৩ সালে আলাদা হয়ে যান তাঁরা। তাঁদের একত্রে একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। যদিও এরপর পৃথাকে বিয়ে করেছেন সুদীপ। দ্বিতীয় বিয়ে থেকে দুই ছেলেও হয়েছে তাঁর। তবে, প্রথম স্ত্রী বা সন্তান, তাঁদের সঙ্গে এখনও সম্পর্ক খুব ভালো। মেয়ে বলতে অজ্ঞান শ্রীময়ী অভিনেতা। বেণী বা সুদীপ, দু🍌জনের কেউই ডিভোর্স নিয়ে সেভাবে কখনো কথা বলেননি। শোনা যায়, পারস্পরিক ইগোই নাকি ছেদ এনেছে সম্পর্কে।
তবে এবার নিবেদিতাকে সুদীপ জানালেন, ‘এখন তো মানুষ স্বাধীনচেতা হয়ে গেছে। আগে এই সুযোগটা অনেকের থাকত না। আমি মা-বাবাকে প্রচণ্ড ঝগড়া করতে দেখেছি। খুব সামান্য ব্যাপার নিয়ে মাকে দেওয়ালে মাথা ঠুকে মাথা ফাটিয়ে ফেলতে দেখেছি। বাবা খাওয়ার থালা ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে। এমন নয় তাঁরা রোজ সেগুলো করত। ঝামেলা হত, কয়েকদিনে তা মিটেও যেত। কিন্তু এটা কখনো ✨আসেনি মা বাবাকে ছেড়ে চলে যাবেন। সেই মানসিকত🐎াটাই আসেনি। কারণ মা বাবার উপরে নির্ভর করত। মা সেই স্বাধীনতাই পায়নি নিজের মতো করে কিছু করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ মানুষ নিজের মতো করে স্বাধীন। বিশেষ করে যদি সে জানে, তার পায়ের তলার মাটি শক্ত। মা-বাবার যে ঝগড়াটা কদিন পর শান্ত হয়ে যেত, এখন এটাই বাড়তে বাড়তে চূড়ান্ত হয়ে যায়। আমি আর বেণী ওই🐻 কারণে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা ভয় পেতাম বেশিদিন একসঙ্গে থাকলে ওই পারস্পরিক সম্পর্কটা ক্ষতি হবে। মেয়ের উপর খারাপ প্রভাব পড়বে। কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি চাইনি আমরা কখনো। সেটা এখনও আছে। আমি ওকে সম্মান করি, কারণ ও আমার মেয়ের মা।’
প্রাক্তন স্ত্রী সম্পর্কে সুদীপ আরও জানালেন, ‘⭕ওঁর গুণ দেখেই তো প্রেমে পড়েছিলাম। ভাবতে গর্ব হয়, এখনো ও নিজের সেই গুণ কাজে লাগিয়ে ভীষণভাবে কেরিয়ারে এগিয়ে চলেছে। আমার সৌভাগ্য যে আমার মেয়ে চিনির মধ্যে ওর জিন রয়েছে। নিজের মতো করে, মেয়েকে বড় করেছে। আমি তো শুধু সামান্য সাহায্য করেছি। বা🅘দবাকি সবটা ও একা হাতে করেছে।’
সম্প্রতি ছোটলোক সিরিজে দামিনী বেণী বসুর অভিনয় হইচই ফেলেছিল। টলিউড-বলিউডের বহু অভিনেতা অভিনয়ের তালিম নিয়েছেন দামিনীর কাছে। তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন স্বামী সুদীপও। সেখান থেকেই আসলে প্রেমের সূত্রপাত হয়েছিল। এখন বিয়ে বা ভালোবাসা না থাকলেও, সম্মানটা কমেনি। এমনকী, অভিনেতার দ্বিতীয় স্ত্রী পৃথাও স্বামীর প্রাক্তন পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ𒉰 রাখেন নিয়মিত।