আসানসোল কুলটির মেয়ে। ম🦋ডেলিং দিয়ে গ্ল্যামার জগতে প্রবেশ। ইঞ্𝓰জিনিয়ারিং ছেড়ে মন দিয়েছেন অভিনয়ে। মাত্র আড়াই বছরেই জিতের দুটো ছবির নায়িকা, কাজ করেছেন দেব-প্রসেনজিৎ-এর সঙ্গেও। কথা হচ্ছে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। শুক্রবার মুক্তি পেল সুস্মিতা অভিনীত মানুষ। কেরিয়ার থেকে ব্যক্তিগত জীবন, হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে অকপট আড্ডায় জিতের নায়িকা।
কেমন আছেন?
সুস্মিতা: খুব ভালো।
এত কম সময়ে জিতের সঙ্গে পরপর দুটো ছবি করে ফেললেন নায়িকা হিসাবে। কী বলবেন?
সুস্মিতা: ভীষণ এক্সাইটেড। এটা আমার জন্য আর্শীবাদ। ভগবান আমার প্রতি সত্যিই সদয় হয়েছে (হাসি)। খুব খুশি। অবশ্যই ধন্যবাদ জানাব জিৎ স্যারকে।෴ পরপর দুটো ছবি ওঁনার বিপরীতে পাওয়াটা সৌভাগ্য়ের। স্বপ্নপূরণও বলতে পারেন।
জিৎ তো ইন্ডাস্ট্রির 'দাদা', আপনি স্য়ার বলেন কেন?
সুস্মিতা: (মুচকি হাসি) জিৎ স্যার বলার পিছনে একটা গল্প রয়েছেꦗ। চেঙ্গিজের প্রথম দিনের শ্যুটিংয়ে ‘জিৎ দা’ বলতে আমি খুব অস্বস্তিতে ভুগছিলাম। আমি প্রশ্ন করি, তোমাকে কী বলে ডাকব? জিৎদা বলে ডাকতে আমি স্বচ্ছন্দ হচ্ছি না। উনি সটান বলেন- আমাকে জিৎ বলেই ডাকো। স্পষ্ট বলেছিলাম, আমি জিৎ বললে তোমার ফ্যানেরা ধরে আমাকে মারবে। তোমাকে স্যার বলে ডাকব। সেই থেকে স্যারই ফিক্সড।
ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে অভিনয়ে আসা, ফিরে তাকালে মনে হয় সিদ্ধান্তটা সঠিক?
সুস্মিতা: একদম। যে পেশায় থাকি না কেন চড়াই-উতরাই তো থাকবেই। আমি ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিজের জন্য। এটা আমার প্যাশন, আমি সারাজীবন অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলাম। আমার পেটে প্রচণ্ড খিদে, আমি চেয়েছিলাম গোটা দুনিয়ার মানুষ আমাকে চিনবে। আমি দর্শককে এন্টারꦡটেন করতে চাই। তাই মনে হয় ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
দেবের সঙ্গে কাছের মানুষে কাজ করেছেন। দুই সুপারস্টার কতটা আলাদা সুস্মিতার চোখে?
সুস্মিতা: (একটু ভেবে) আলাদা কিনা জানি না। তবে অনেকক্ষেত্রে দুজনেই এক। দেবদা এবং জিৎ স্যার, দুজনেই খুব হার্ড ওয়ার্কিং, কাজের প্রতি প্রচণ্ড সিরিয়াস। তাঁরা খুব মজা করে কাজ করেন। দুজনেই খুব ভালো মানুষ। আর শেখার তো অনেককিছুই রয়েছে। আমি তো শিখতেই এসেছি এখানে। আমার মনে হয় সাফল্যের পরেও মাটিতে জুড়ে থাকা, কাজের প্রতি ডেডিকেশন, ফোকাস থাক🥂াটা শিখেছি এঁদের থেকে।
‘মানুষ’ ছবিতে আপনার চরিত্রটা নিয়ে যদি কিছু বলেন?
সুস্মিতা: আমার কেরিয়ারের সেরা চরিত্র। এত সুন্দর চরিত্র আগে পাইনি। এই চরিত্রের মধ্যে অনেক জটিলতা, অনেক লেয়ার্স রয়েছে। কখনও সে রক্ষক আবার কখনও নিজেই নির্যাতিতা। খুব বেশি꧋ প্রকাশ্যে আনতে পারব না। বাকিটা হলে গিয়ে দেখ༒তে হবে।
সুস্মিতা কেমন ‘মানুষ’ পছন্দ করে, আর কেমন ‘মানুষ’ অপছন্দ?
সুস্মিতা: আমি খুব সিম্পল মেয়ে। পছন্দটাও সাদামাটা। বেশি জটিল মানুষ পছন্দ নয়। লাভিং, কেয়ারিং আর অনেস্ট মানু♔ষ পছন্দ করি। মিথ্যা কথা বলা পছন্দ করি না। ভুল তো মানুষ মাত্রই🅷 করে। কিন্তু ভুল করলে ক্ষমা চাওয়াটা জরুরি, চাইব ভুল করলে কেউ সত্যিটা বলুক, মিথ্যে নয়।
আপনার প্রেম-টেম নিয়ে তো অনেক গুজব রটে। সবচেয়ে অদ্ভূত কি গুঞ্জন শুনেছেন নিজের সম্পর্কে?
সুস্মিতা: আমি নিজের সম্পর্কে অনেক গুজব শুনেছি, প্রত্যেকটাই অদ্ভূদ। ধরুন, আমি কোনও সম্পর্কে রয়েছি সেটা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি হবে না। কিন্তু আমি যার সঙ্গে আমার কিছু নেই, কোনও সম্পর্ক নেইꦆ সেটা নিয়ে খবর রটবে। ক💯ী স্ট্রেঞ্জ বলুন তো! এটা নিয়ে পরে হাসাহাসিও করেছি। নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করেছি। তবে এটা তো জীবনের অঙ্গ। (শোবিজ দুনিয়ার) শুধু ভালোটা নেব, খারাপটা নেব না সেটা তো হয় না।
সুস্মিতার মনের মানুষ রয়েছে?
সুস্মিতা: না। আমি সিঙ্গল, তবে আমি মনের মানুষ খুঁজছি। একটা ভালো মনের মানুষ খুঁজছি, শুধু আমাকে বুঝতে হবে তাঁ📖কে, তাহলেই চলবে। একটু বেশিই রোম্যান্টিক হয়ে গেল তাই না? (হাসি)