উত্তর প্রদেশ আরও একবার খবর🐎ের শিরোনামে উঠে এসেছে। মুজাফফরনগরের এক প্রাইভেট সকলের টিচার তাঁরই কিছু ছাত্রকে আরেক ছাত্রকে মারার নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয় নির্দিꦏষ্ট কিছু ধর্মের ছাত্র যাঁদের বাবা মা হয়তো তাদের পড়াশোনার দিকে অত নজর দিতে পারেন না তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়ারও কথা বলেন এদিন। আর এই গোটা ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তারই শুরু হয়েছে ছিছিকার। বিদ্বজনেরা পর্যন্ত এই ঘটনার বিরোধিতা করেছেন। স্বরা ভাস্কর, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, রেনুকা সাহানে, প্রকাশ রাজ সহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
রেনুকা সাহানে এই ঘটনা প্রসঙ্গে টুইটারে লেখেন, 'এই শিক্ষিকাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত। কিন্তু সেটার বদলে হয়ত𝔍ো তাঁকে জাতীয় শিক্ষকের সম্মান দেওয়া হবে জাতীয়তাবাদ ছড়ানোর জন্য। আমার আদরের দেশ কাঁদো এবার তুমি কাঁদো।'
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও বরাবরের মতো এই অন্যায়ের পর চুপ করে থাকেননি। তিনি টুইট করে লেখেন, 'ইনি একজন শিক্ষিকা! কোন অবস্থায় আমরা দাঁড়িয়ে আছি দেখুন। কী করে এখান থে🍬কে বেরোব আমরা?'
প্রকাশ রাজও মুখ খুলেছে♈ন এই ঘটনার বিরুদ্ধে। তিনি লেখেন, 'মনুষ্যত্বের কালো দিকে প্রবেশ করছি আমরা⭕। আপনারা চিন্তিত নন?'
এই ঘটনায় স্বরা ভাস্কর তাঁর ক্ষোভ প্র🌳কাশ করে টুইটারে লেখেন, 'যে হিন্দুরা এই ঘটনায় শকড হয়েছেন আপনারা যদি বিজেপিকে ভোট দি▨য়ে থাকেন তাহলে প্লিজ এই ক্ষেত্রে নিউট্রাল থাকুন।' তিনি এরপর তাঁর পোস্টে সেই শিক্ষিকার গ্রেফতারের দাবি তোলেন।
উত্তরജ প্রদেশ পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এই ঘটনার। মুজাফফরনগরের খুব্বাপুর গ্রামের একটি বাড়িতে এই বেসরকারি স্কুলটি চলত। সেখান থেকেই এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যে শিক্ষিকা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তাঁকেও চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁর নাম তৃপ্তি ত্যাগি। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে তিনি 🐼একটি চেয়ারে বসে তাঁর বাকি ছাত্রদের উসকাচ্ছেন আরেকটি ছাত্রকে মারার জন্য, তার অপরাধ সে নামতা বলতে পারেনি!
ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস এর চেয়ারপারসন প্রিꩲয়াঙ্ক কানুনগো সবাইকে অনুরোধ করেছেন কেউ যেন এই ভিডিয়ো না শেয়ার করেন।