আর্থিক অনটনের জেরে ক্যানসারের চিকি✅ৎসা করাতে পারছিলেন না, অবশেষে না-ফেরার দেশে তামিল অভিনেত্রী সিন্ধু। ভানাথা বালানের ছবি ‘অঙ্গারি থেরু’ (২০১০)-তে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন সিন্ধু। সোমবার ভোররাতে মৃত্যু হয় অভিনেত্রীর। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৪ বছর। ২০২০ সালে ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পড়ে সিন্ধুর, গত তিন বছর ধরে এই মারণরোগের সঙ্🌳গে লড়াই চালাচ্ছিলেন অভিনেত্রী। অবশেষে সব লড়াইয়ে ইতি টেনে না-ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন তিনি।
অভিনেতা কোট্টাচ্চি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুঃসংবাদ ভাগ করে নেন। সিন্ধুর একটি ছবি♋ পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘আজ ভোর ২💟.১৫ মিনিটে অভিনেত্রী সিন্ধু চলে গেলেন। ওঁনার আত্মার শান্তি কামনা করি’।
গত কয়েক বছর ধরে কিলপাউকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ক্যানসারের চিকিৎসা করাচ্ছিলেন অভিনেত্রী। দিন কয়েক আগে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে আর্থিক সাহায্যের করুণ আর্তি জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚরথি, ইশারি গণেশ, সতীশ কুমার-সহ আরও অনেকে সাওহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। হাসপাতালের বিল মেটাতেও সাহায্য করেছিলেন ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীরা।
ব্রেস্ট ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মাস কয়েক আগেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন ইতিমধ্যেই বাদ পড়েছে তাঁর একটি স্তন। এই যন্ত্রণা নিয়ে আর বাঁচতে চ🥃ান না, সেই আর্জি রেখে স্বেচ্ছামৃত্যুর কথাও জানিয়েছিলেন। সিন্ধুর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁর গুণমুগ্ধরা। এই কঠিন সময়ে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তামিল ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মী-বন্ধুরা।
শিশুশিল্পী হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সিন্ধু। ছোট থেকে চরম আর্থিক অনটনের শিকার ছিলেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই বিয়ে হয়ে যায় তাঁর, বিয়ের বছর খানেকের মধ্যেই মা হন প্রয়াত অভিনেত্রী। সুখের হয়নি দাম্পত্য জীবন। সন্তা🎉নকে বড় করতে কঠিন লড়াই চালিয়েছেন প্রয়াত অভিনেত্রী।
‘অঙ্গারি থেরু’ ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মহেশ এবং অঞ্জলি। পার্শ্ব চরিত্র সিন্ধুর অভিনয় নজর কেড়েছিল। পরবর্তীতে ‘নাদোদিগাল’, ‘নান মাহান আলা’, ‘থেনাভাট্টু’র মতো ছবিতে অভিꦰন🍎য় করেছেন তিনি।