তিন মাস অতিক্রান্ত। ভারতে থাকার রেসিডেন্স পারমিট শেষ হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের। যে কোনওদিন ভারত থেকে বিতাড়িত হতে পারেন তিনি, এই ভয় কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আগেও বহুবার সেই ভীতির কথা উল্লেখ করেছেন তসলিমা। গত ২২শে জুলাই ভারতে থাকার পারমিট শেষ হয়েছে তাঁর। আরও পড়ুন-‘আমি মরেই যাব…’, ভারত থেকেও বিতাড়িত 🐼হবেন তসলিমা? ঘুম উড়েছে বাংไলাদেশি লেখিকার
বহু আগে থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে ফোনে এবং ই-মেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন লেখিকা, কিন্তু কোনও পালটা জবাব আসেনি। এবার এক্স হ্যান্ডেলের মারফতে সোজা স্বরাষ্ট্র মন্꧑ত্রী অমিত শাহের কাছে আর্জি রাখলেন তসলিমা।
দেশছাড়া হয়েছেন আগেই। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের ‘আশ্রিতা’ তিনি। এবার আর কি ভারতে থাকতে পারবেন? চিন্তিত এক্স হ্যান্ডেলে তসলিমা লেখেন, ‘প্রিয় অমিত শাহজি, নমস্কার। আমি ভারতে থাকি, কারণ আমি এই মহান দেশকে ভালোবাসি। গত ২০ বছর ধরে ভারত আমার দ্বিতীয় বাড়ি। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আমার রেসিডেন্ট পারমিট পুনর্ন🗹বীকরণ করছে না গত ২২শে জুলাই থেকে। আমি খুব চিন্তিত। আমি কৃতজ্ঞ থাকব আপনার কাছে যদি আপনি আমাকে থাকতে দেন… উষ্ণ অভ্যর্থনা’।
আপতত দিল্লিতে বসবাস করেন তসলিমা। ১৯৯৪ সালে দেশ ছাড়তে হয়েছিল তসলিমাকে। ইসলাম বিরুদ্ধ লেখালেখির জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি হয়েছিল। এরপর দীর্ঘদিন ইউরোপ-আমেরিকায় থাকার পর ভারতে ঠাঁই হয় তাঁর। ২০০৪ সাল থেকে টানা তিন বছর পশ্চিমবঙ্গে ছিলেন তসলিমা। এরপর ‘দ্বিখণ্ডিত’ নিষিদ্ধ হওয়ার পর হুমকির মুখে পড়ে কলকাতা ছাড়তে বাধ্💙য হন। যদিও তসলিমার অভিযোগ সুনীল গঙ্গোপাধ্য়ায়ের অঙ্গুলি হেলনে তাঁকে কলকাতা-ছাড়া করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুর পরেও সেই ক্ষোভের কথা প্রকাশ্যে আনেন তসলিমা।
কলকাতা ছাড়ার পর দিল্লির বাসিন্দা হন। রেসিডেন্ট পারমিট দীর্ঘ সময় ধরে পুনর্নবীকরণ হলেও সম্প্রতি আটকে গি♑য়েছে। হালে ভারত-বাংলাদেশে কূটনীতিক সম্পর্ক খানিক নড়বড়ে। এর জেরেই কি আটকে গিয়েছে তসলিমার পারমিট? লেখিকা অবশ্য তেমনটা মানতে রাজি নন। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে তাঁর যোগ নেই। তিনি সুইডিশ নাগরিক হিসাবে ভারতে থাকেন। এর আগে ২০১৭ সালে একবার প্রযুক্তিগত ক্রুটির কারণে তসলিমার রেসিডেন্ট পারমিট নিয়ে জটিলতা তৈরি💝 হয়েছিল।