দুর্গাপুজো মানেই হলমুখী দর্শক।ဣ তাই এই সময়টাকে টার্গেট করেন একাধিক প্রযোজক। এই বছর পুজোর ছবির সংখ্য অন্যবারের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম। মাত্র তিনটি ছবি মহাপঞ্চমীর দিন বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছিল। প্রথম তিনদিন খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল দেব, মিঠুন, আবিরদের কাছে। কারণ শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে আলিয়া ভাটের জিগরা। সেই ছবি মুক্তির আগে পায়ের নীচের মাটি শক্ত না করলে শো সংখ্যা কমবে।
মুক্তির পর প্রথম তিনদিনে জোরদার টক্কর দুই ছবি। দেব-সৃজিতের টেক্কা এবং শিবপ্রসাদ-নন্দিতার বহুরূপী। পঞ্চমী থেকে সপ্তমী পর্য🍸ন্ত অ⭕র্থাৎ প্রথম তিনদিনে টেক্কাকে হারিয়ে দিল বহুরূপী। দেব এন্টারটেনমেন্ট প্রোডাকশন হাউসের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে টেক্কার আয়। তিনদিনে ১.৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ছবি।
জানা যাচ্ছে, প্রতিদিন লাফ𒁏িয়ে বেড়েছে ছবির আয়। হিসাব বলছে, ষষ্ঠীর দিন প্রায় ৬০ লাখের উপর আয় করেছে টেক্কা। যদিও টাকার অঙ্ক হোক বা হাউসফুল শো-এর হিসাব, দুই-দিক থেকেই এগিয়ে বহুরূপী। টেক্কার চেয়ে অনেক বেশি শো নিয়ে চলছে বহুরূপী। আবির-ঋতাভরী-কৌশানি-শিবপ্রসাদ অভিনীত এই ছবি প্রথম তিনদিনে ২ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বলে খবর।
প্রযোজক রানা সরকারের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী প্রথম দু-দিনে টেক্কার ব্যবসা ছিল ৮২ লক্ষ এবং বহুর♉ূপী আয় করেছিল ১ কোটি ০৮ লক্ষ টাকা। যদিও উন্ডোজ প্রোডাকশন হাউজের তরফে বহুরূপীর আয় নিয়ে এখনও কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। পুজোর অপর রিলিজ মিঠুনের শাস্ত্রী। যা সোহম চক্রবর্তী এবং সুরিন্দর ফিল্মসের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি।
আরও পড়ুন-পুজোর ব্যবসায় এগিয়ে কে? সৃꦑজিতের উলটো সুর বিখ্যাত টলি-প্রযোজকের, টে♔ক্কার আগে রাখলেন…
ব্যবসার নিরিখে টেক্কা বা বহুরূপীর সামনে টিকতে পারেনি শাস্ত্রী। তিনদিনে এই ছবির কালেকশন ২০ লাখের আশেপাশে বলে খবর। অষ্টমীর দিনও শহরজুড়ে বহুরূপীর প্রায় শতাধিক শো অলমস্ট ফুল অর্থাৎ দর্শকরা হল ভরাচ্ছেন এই থ্রিলার দেখতে। পিছিয়ে নেই টেক্কাও। এই ছবিরও প্রায় ৭৫টি শো প্রায় ভরে🤪 গিয়েছꩲে, জানিয়েছে বুক মাই শো-এর হিসাব।
আরজি কর আবহে স্বস্তিকা দাবি তুলেছিলেন ‘উৎসবে না ফেরার’! সৃজিতও এই আন্দোলনে সরকার বিরোধী অবস্থান নিয়েছিলেন। ফলে স্পষ্টটই বেশ চ🌄িন্তায় ছিলেন নির্মাতারা। দেব পর্যন্ত স্বীকার করেছিলেন, ছবির ব্যবসা নিয়ে বর্তমান পরিস্থতে একটা অনিশ্চয়তা কাজ করছেই। তবে কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, বাংলা সিনেমা বা বাংলার তারাকারা, কারও থেকেই মুখ ফেরায়নি বাঙালি। এমনকী, লাইন দিয়ে রাত জেগে ঠাকুর দেখার পাশাপাশি ছবি দেখতেও লাইন দিচ্ছে বাঙালি। উৎসব আর প্রতিবাদ চলছে সমানতালে।