গত বছর নভেম্বরে হলে মুক্তি পেয়েছিল অর্জুন কাপুর ও ভূমি পেদনেকরের ‘দ্য লেডি কিলার’। সেই ছবি কবে এল আর কবে গেল, তা বলিউডের চরম ভক্তের পক্ষেও বলা দুষ্কর। দেশজুড়ে এই ছবির মাত্র ৫০০টি টিকিট বিক্রি হয়েছিল। ৪৫ কোটি বাজেটের ছবি বক্স অফিসে মাত্র ৬০ হাজার টাকা আয় করে। অর্থাৎꦅ খরচের ৯৯.৯৯% জলে গিয়েছে প্রযোজকের।
বক্স অফিস রিপোর্ট দেখে টি-সিরিজের সঙ🉐্গে চুক্তি ভেঙে দেয় নেটফ্লিক্স। পরবর্তীতে কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এই ছবির কপিরাইট কিনতে চায়নি। অগত্যা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইউটিউবে মুক্তি পায় এই ছবি। ইউটিউবে ২রা সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় এই ছবি। তারপর থেকে কমেন্ট সেকশনে নানা মুনির নানা মত। কেউ শুধু খিল্লি করতেই ওই ভিডিয়োতে ক্লিক করেছেন, কেউ আবার ছবি দেখে হতাশ। অনেকে অবশ্য বলেছেন, ‘ওতোটাও খারাপ নয়’। তবে নেতিবাচক মন্তব্যের সংখ্যাই বেশি।
একজন লেখেন, ‘অর্জুন কাপুরকে ধন্যবাদ, গত এক মাস ধরে আমা🥀কে ঘুমোতে সাহায্য করছেন। এই ছবিটা চালালেই আমি ঘুমিয়ে যাই’। আরেকজন লেখেন, ‘নিঃসন্দেহে অর্জুন এই প্রজন্মের সবচেয়ে বড় ফ্লপস্টার’। অপর একজন লেখেন, ‘একের পর এক ফ্লপ ছবি 🗹উপহার দেওয়া সহজ নয়, অর্জুন কাপুরকে সেলাম’। নায়ককে খোঁচা দিয়ে আরেকজন লেখেন, ‘অর্জুন রেকর্ড ভাঙতে ওস্তাদ। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ার পর শেষে ইউটিউবে!’ অপর এক সিনেপ্রেমী লেখেন, ‘এই ছবির নাম লেডি কিলার নয়, প্রযোজক কিলার হওয়া উচিত, ৪৫ কোটির ছবির আয় যখন ৬০ হাজার!’
অজয় বহেলের এই ক্রাইম থ্রিলার তৈরিরকাজ শুরু হয়েছিল ভূষণ কুমারের টি-সিরিজের ব্যানারে। ২০২৩ সালে বেশ কয়েকটি দৃশ্য ফের শ্যুট করার জেরে ছব🧔িটির বাজেট ছাড়𝓰িয়ে দাঁড়িয়েছিল ৪৫ কোটি টাকায়। কিন্তু মুক্তির পর দেখা গেল, প্রথম দিনে সারা ভারতে মাত্র ২৯৩টি টিকিট বিক্রি হয় এই ছবির।
কেন লেডি কিলার ব্যর্থ হয়?
রিপোর্টে বলা হয়,দ্য লেডি কিলার অসম্পূর্ণ মুক্তি পেয়েছিল, ক্লাইম্যাক্সটি পুরোপ💛ুরি শ্যুট করা হয়নি। ছবির পরিচালক অজয় বহল প্রথমে একটি সাক্ষাৎকারে এই দাবিকে সমর্থন করলেও পরে পালটি খান। দ্য লেডি কিলার গত বছর নভেম্বরে ভারতের মুষ্টিমেয় প্রেক্ষাগৃহে রিলিজ করেছিল। ট্রেড ইনসাইডারদের মতে, এর কারণ ছিল নির্মাতারা ডিসেম্বরে স্ট্রিমিং রিলিজের জন্য ওটিটি জায়ান্ট নেটফ্লিক্সের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। এর জন্য, চলচ্চিত্রটির নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির প্রয়োজন ছিল, যা ব্যর্থ হলে স্ট্রিমিং চুক্তিটি অবৈধ হয়ে যাবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে নির্মাতারা অনুভব করেছিলেন যে একটি টোকেন রিলিজ করা এবং তারপরে ওটিটি রিলিজটি সুরক্ষিত করা ভাল। যে কারণে 'অসম্পূর্ণ' ছবিটি কোনও প্রচার ছাড়াই মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ছবি নিয়ে খুশি না হওয়ায় অর্জুন বা ভূমি প্রচারে এগিয়ে আসেননি।