সুবান রায়ের হাত ধরেই অভিনয়ের জগতে পা রাখা তিয়াসার। এমনকী টলিগঞ্জ পাড়ার অলিগলি সুবান রায়ের হাত ধরেই চিনেছিলেন তিয়াসা রায় (এখন লেপচা)। জি বাংলার ‘কৃষ্ণকলি’র সুবাদে রাতারাতি স্টার হয়ে যান এই টেলি নায়িকা। ২০১৭ সালে সুবান ⭕রায়ের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন তিয়াসা, তখন তাঁর বয়স সবে ১৯! বুধবার ২৪-এ পা দিলেন তিয়াসা, তবে এখন আর তিনি রায় নন, লেপচা। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতেই সুবান রায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে তিয়াসার। দুজনে আলাদা পথ বেছে নিয়েছেন, গত বছর জন্মদিনেও তিয়াসার পাশে ছিলেন না সুবান। তখন তাঁদের ছাদ আলাদা ছিল ঠিকই, তবে খাতায়-কলমে তখনও স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। এখন সব বন্ধন থেকেই মুক্ত দুজনে।
জন্মদিনটা জমজমাট তিয়াসার। ‘কৃষ্ণকলি’ পরিবারের সঙ্গে প্রি-বার্থ ডে ডিনার সেরেছেন। এরপর বন্ধুদের সঙ্গেও হই-হ☂ুল্লোড়ের ঝলক উঠে এসেছে তাঁর ইউটিউব ভ্লগে। গোবরডাঙা থেকে বন্ধুরা এসেছে, তাঁদের সঙ্গে🐼 দিনটা এনজয় করতে চান তিয়াসা। কোনও বিশেষ বন্ধুও কী রয়েছে? ইন্ডাস্ট্রিতে ইতিমধ্যেই কানাঘুষো ‘কৃষ্ণকলি’ শ্যামার জীবনে নাকি নতুন বসন্ত! যদিও সেই কথা প্রকাশ্যে মানতে না-রাজ অভিনেত্রী। এক সাক্ষাৎকারে নায়িকার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল ‘তিয়াসা কি সিঙ্গল?’ জবাবে অভিনেত্রী বলেন- ‘হ্যাঁ,পুরোদস্তুর। ন্যাড়া এক বারই বেলতলায় যায়।’
তবে ভবিষ্যতে আর কখনও সাত পাকে বাঁধা পড়বেন না, তেমনটা নয়। মনের মানুষ খুঁজে পেলে ধুমধাম করে বিয়ে করতে আগ্রহী তিয়াসা। 💫এমনকী জানান, ‘আমার বিয়েতে নিশ্চয়ই সুবান নিমন্ত্রিত হবে’।
তিয়াসার এই মন্তব্য নিয়ে সুবানের কী বক্তব্য? হিন্দুস্তান টাইমসের তরফে যোগাযোগ করা হলে অভিনেতা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলেন, ‘আমি এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। অতীতের দিকে আর ফিরে তাকাতে চাই না’। স্পষ্টই বোঝা গেল তিয়াসা মুখে যতই প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখবার ইঙ্গিত দিন, বাস্তব ছবিটা কিন্তু মোটেই সেরকম নয়। আরও পড়ুন-আচমকা হাসপ🐠াতালে ভর্তি হলেন ‘কৃষ্ণকলি’ তিয়াসা, কী হয়েছে অভিনেত্রীর?