মিমির বদলে এবার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়বেন সায়নী ঘোষ। ব্রিগেডের ময়দান থেকে ঘোষণা হয়েছে সায়নীর নাম। তবে নাম ঘোষণা হতেই বিন্দুমাত্র অপেক্ষা করেননি সায়নী। নেমে পড়েছেন ভোটের প্রচার🌊ে। কখনও তিনি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেওয়াল লিখনে হাত লাগিয়েছেন, কখনও আবার মিছিলে হেঁটেছেন। কিংবা কোনও মহিলার মোমোর দোকানে ঢুকে পড়ে মোমো খেতে এবং বানাতেও 𒈔দেখা গিয়েছে সায়নীকে।
প্রচারে নেমে মানুষের মন পেতে কোনও প্রচেষ্টাই বাদ রাখছেন না সায়নী ঘোষ। কারণ, যাদবপুরের মতো হেভিওয়েট কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের তুরুপের ত্রাস যে তিনিই। এদিকে আবার প্রচার শেষেও বিন্দুমাত্র এনার্জির কমতি নেই তাঁর। সারাদিনের শেষে বাড়ি ফিরে বসে গান ধরতে দেখা গিয়েছে সায়নীকেജ। তাঁরই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে উঠে এসেছে সেই মুহূর্ত। তাতে বাড়িতে সোফায় বসে গিটার বাজাতে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তিকে। অন্যদিকে সায়নী সেই সুরে গান ধরেছেন, ‘যদি আকাশের গায়ে কান না পাতি/ তোমার কথা শুনতে পাবো না’। এদিকে তাঁর চোখে মুখে তখন ক্লান্তির ছাপ। যে শাড়ি পরে প্রচারে বের হয়েছিলেন, সেই শাড়িতেই দেখা যায় তাঁকে। এই ভিডিয়ো পোস্ট করে সায়নী ক্য়াপশানে লিখেছেন, ‘সারাদিনের শেষে… জয়গুরু’।
সোশ্যাল মিডিয়া অনেকেই সায়নীর গলা, গানের প্রশংসা করেছেন। কেউ আবার সারাদিন ঘোরাঘুরির পর এত এনার্♍জি দেখে প্রশংসায় ভরিয়েছেন। তবে তারই মধ্যে কেউ কেউ আবার সায়নীর সমালোচনা করতেও ছাড়েননি। উঠে এসেছে কিছু অশালীন মন্🍌তব্যও। তবে যে যাই বলুন না কেন, সায়নী আপাতত ভোট নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ত।
প্রসঙ্গত ২০২১ সালে আসানসোল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বিধানসভা ভোটের প্রার্থী হয়েছিলেন সায়নী ঘোষ। তবে সেবার তিনি হেরে যান। যদিও সেবার ভোটের জন্য আসানসোলের মাটি কামড়ে পড়েছিলেন সায়নী। আর তাই ভোটে হারলেও শোনা যায়, সায়নীর কাজে, পরিশ্রমে মুগ্ধ ছিলেন দলনেত্রী। আর তাই তৃণমূলের যুবনেত্রীর শিরোপা পান অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। তাঁর উপর দলের গুরু দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হয়। এবারও এককথায় ভালো দলীয় কাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত জিতে নিয়ে একপ্রকার প্রমোশনই হয়েছে তাঁর। আর তাই যাদবপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে♔ এই লড়াইয়ে সায়নী জিততে পারেন কিনা, তা সময়ই বলবে।